Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এবার নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ভারত

india-nzএকই সফরে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুটাই দেখলো ভারত। শ্বাসরূদ্ধকর টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৫-০ ব্যবধানে হারাল ভারত। যেখানে টানা দুটি ম্যাচই গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ৫০ ওভারের এই সিরিজে এবার ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করলো নিউজিল্যান্ড।

আজ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথমে ব্যাট করে লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে ২৯৬ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে ভারত। কিন্তু তাদের এই স্কোরও শেষ পর্যন্ত টিকলো না। উল্টো ১৭ বল হাতে রেখেই তিন হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৫ উইকেটের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিলো কিউরা। ফলে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত।

chardike-ad

সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের করা ৩৪৭ রানের বিশাল স্কোরও কিউইরা দাঁড়াতে দেয়নি তাদের সামনে। ১১ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের ব্যবধানে জিতে যায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের করা ২৭৩ রান টপকাতে পারেনি ভারত। হার মানে ২২ রানে। শেষ ম্যাচে ২৯৬ রান করে হারলো ৫ উইকেটের ব্যবধানে।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়। ৮ রানের মাথায় মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা বিরাট কোহলি আউট হয়ে যান দলীয় ৩২ রানের মাথায়।

এরপর ৩০ রানের জুটি গড়েন বিচ্ছিন্ন হন পৃত্থি শ এবং শ্রেয়াশ আয়ার। পৃত্থি শ করেন ৪২ বলে ৪০ রান। ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ার পর স্রেয়াশ আয়ার এবং লোকেশ রাহুল মিলে গড়েন ১০০ রানের জুটি। ৬২ থেকে ১৬২- এরপরই বিচ্ছিন্ন হন লোকেশ এবং আয়ার।

৬৩ বলে ৬২ রান করে আউট হয়ে যান স্রেয়াশ আয়ার। এরপর ভারতকে টেনে নেয়ার দায়িত্ব নেন লোকেশ রাহুল এবং মানিস পান্ডে। এ দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে শতাধিক রানের জুটি। ১০৭ রানের জুটি গড়ার পর সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল আউট হয়ে যান ১১৩ বলে ১১২ রান করে। ৪৮ বলে ৪২ রান করেন মানিশ পান্ডে। বাকি ব্যাটসম্যানরা আর ঠিকমত দাঁড়াতেই পারেনি। যার ফলে ভারতের স্কোর শেষ পর্যন্ত দাঁড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান।

nzজবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল এবং হেনরি নিকোলসের ব্যাটে গড়ে ওঠে ১০৬ রানের বিশাল জুটি। ৪৬ বলে ৬৬ রান করে আউট হন মার্টিন গাপটিল। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি মারেন ৪টি বিশাল ছক্কার মার।

হেনরি নিকোলস ১০৩ বল খেলে করেন ৮০ রান। তিনি ইনিংস সাজান ৯টি বাউন্ডারিতে। এরপর কেন উইলিয়ামসন ২২, রস টেলর ১২ এবং জিমি নিশাম ১৯ রান করে আউট হলে কিছুটা বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তবে টম ল্যাথামের ধৈর্য্যশীল ইনিংস এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের শেষ মুহূর্তে ঝড়ো ইনিংস নিউজিল্যান্ডকে সহজ জয় এনে দেয়।

২৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল ৩ উইকেট নিলেও নিউজিল্যান্ডের খুব একটা ক্ষতি করতে পারেনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন হেনরি নিকোলস।