গাজায় আজ শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে এক পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। ইসরাইলি একজন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর মধ্যে আলোচনার পরই এবিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। হামাসের পক্ষ থেকে এখনো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে আজ নয় দিনের সহিংসতার পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর মধ্যে পাঁচ ঘন্টার একটি ‘মানবিক’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সেই যুদ্ধবিরতি চলতে থাকার সময়ই পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির নতুন ঘোষণা এলো। তবে কিছুক্ষণ আগে পাওয়া এক খবরে বলা হয়, এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজা থেকে তিনটি মর্টার নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনো এর জবাবে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা যায়নি।
গত ৯ দিন ধরে গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ২২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। কাল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের রকেট নিক্ষেপে একজন ইসরাইলি নিহত হবার খবর জানা যায়। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত এ বিরতিকে মানবিক যুদ্ধবিরতি হিসেবে বর্ণনা করা হয়, যাতে গাজার অধিবাসীরা প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ ও মজুত করতে পারে। যুদ্ধবিরতির সময় এটিএমগুলোতে টাকা তোলার জন্য গাজার লোকদের ভিড় জমে যায়।
এর আগে ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের চার শিশু নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েল দুঃখজনক হিসেবে বলে উল্লেখ করে। ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ এ ঘটনাকে অনিচ্ছাকৃত বলে উল্লেখ করে এ জন্য দুঃখিত বলে উল্লেখ করেন। এই চারজন শিশু গাজার সমৃদ্ধ সৈকতে খেলা করার সময় গোলা বর্ষণে নিহত হয়। ঘটনাটি ঘটে একটি হোটেলের সামনে যেখানে বিদেশী সাংবাদিকরা অবস্থান করছেন। এসব সাংবাদিকরা ঐ হামলায় আহত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে সেবা করেন। ইসরাইল বলছে ফিলিস্তিনের তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল হামাস। হামাস এই ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধের সামিল বলে অভিহিত করেছে।