ইসরায়েল ও হামাস গাযায় ১২ ঘণ্টার এক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। মূলত মানবিক কারণে আজ সকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া এই বিরতিতে যাবার সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।
আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলছে ইতোপূর্বে গাজা থেকে যাদের সড়ে যেতে বলা হয়েছে তাদের ফিরে আসা উচিত হবেনা আর আঘাত করা হলেই পাল্টা আঘাত করা হবে।
এর আগে মি. কেরি বলেন তিনি সাত দিনের এক যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সাথে কাজ করছেন এবং এর বাস্তবায়নের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
মি বান বলেন চলমান লড়াইয়ে এটা স্পষ্ট যে এর কোন সামরিক সমাধান নেই। তবে গাযায় যা চলছে তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
ওদিকে গাযায় ইসরায়েলের আক্রমণের প্রতিবাদে পশ্চিম তীরে যে বিক্ষোভ হয়েছে সে সময় ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মিদের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
বেইত ফাজর নামের এলাকায় এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পার্শ্ববর্তী বেথেলহোমে নিরাপত্তা রক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হলে জবাবে রাবার বুলেট ছোড়ে ইসরায়েলি নিরাপত্তা রক্ষীরা। রামাল্লা, নাবলুস এবং হেবরণের কাছে গ্রামেও বিক্ষোভ হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, আর সময় নেই। ৪৭ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ এবার চিরতরে বন্ধ করার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, “আলোচনায় বসার জন্য একটি পথ খুঁজে বের করতেই হবে। আগে আরও দুইবার গাজা নিয়ে সংঘর্ষ চলার সময় যেভাবে শান্তি আলোচনা চলেছে এবারে আর সেরকম হলে চলবে না। চলমান এই যুদ্ধই আমাদের বলে দিচ্ছে যে, ৪৭ বছর ধরে চলা যুদ্ধ এবারে একেবারেই সমাপ্ত করে অবরুদ্ধ গাযাকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তি দেবার সময় এসেছে।”
ইসারয়েলি হামলায় এ পর্যন্ত মোট ৮শ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খবর বিবিসির।