শনিবার । জুন ২১, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক বিজনেস ১৩ মে ২০২৫, ৪:৩৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

‘এনবিআর বিলুপ্ত হলেও কর্মকর্তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই’


এনবিআর বিলুপ্ত হলেও কর্মকর্তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত হলেও এর অধীনে থাকা কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘নতুনভাবে তৈরি হওয়া পলিসি ডিভিশন একটি ছোট ইউনিট হবে। এতে এনবিআর-এর উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এনবিআর থাকবে আগের মতোই, কিছু টার্মস অব রেফারেন্সে কিছু পরিবর্তন হবে।’

আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

এদিকে, নতুন অর্থবছরের বাজেটে অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নেওয়া হবে জানিয়েছেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করবো না। ধার করে বড় বড় মেগা প্রকল্প করব না।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভক্ত করায় রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে কি না–সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। এই পর্যন্ত ইতোমধ্যে রাজস্ব আদায় গত বারের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। খুব হতাশাব্যঞ্জক না, আমি আরও এক্সপেক্ট (আশা) করছি। অ্যাটলিস্ট গত বারের তুলনায় কম হবে না।’

ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, মোটামুটি বাজেটটা আমরা বাস্তবায়ন করব, বিরাট একটা গ্যাপ নিয়ে করবো না। প্রকল্প, এডিপি বাস্তবায়ন করবো অত্যন্ত বাস্তব ভিত্তিতে। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট নিয়ে, ধার করে ডেফিসিট (ঘাটতি) দিয়ে এগুলো করবো না। ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করবো না। কিছুটা তো ডেফিসিট থাকবে। সেটা পূরণ করতে আমি নেগোশিয়েট (আলোচনা) করছি। আমরা আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে প্রজেক্টের ব্যাপারে কথা বলছি, সেটা মোটামুটি এখন সাকসেসফুল (সফল)।’

গতকাল একটি অধ্যাদেশ জারি করে এনবিআর বিলুপ্ত করা এবং সেটি নিয়ে কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে বিরোধিতা করে আসার পর তাদের মতামত উপেক্ষা করেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অধ্যাদেশটা ভালো করে পড়ে দেখেন, তাদের স্বার্থ সম্পূর্ণ সংরক্ষিত আছে।’

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে দেখা যায়, পলিসি ও ইমপ্লিমেন্টেশন ডিভিশন একসঙ্গে থাকে না। পলিসি ডিভিশনে প্রফেশনাল লোক লাগে, যাদের অর্থনীতি, পরিসংখ্যান ও জিডিপি সম্পর্কে ধারণা থাকে। অন্যদিকে এনবিআর মূলত আদায় সংক্রান্ত কাজ করবে।’

তিনি যোগ করেন, ‘একই সংস্থা যদি পলিসি তৈরি করে এবং বাস্তবায়নও করে, সেখানে স্বার্থের সংঘাত (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) থেকে যায়। আমি পলিসি করলাম, আবার সেই পলিসি বাস্তবায়নেও থাকলাম—এটা ঠিক নয়।’

ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত চিন্তাভাবনা করেই নেওয়া হয়েছে। এনবিআরের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা হয়েছে। তবে যদি কেউ ভাবেন যে এনবিআরের হাজার হাজার লোকের সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা করতে হবে, তা নয়।’