গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) সাড়ে ৩টার দিকে কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। কারামুক্ত হয়েই সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
মঙ্গলবার (২০ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা যারা আমার পাশে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে।
এর আগে, রোববার (১৮ মে) থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় নুসরাত ফারিয়াকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। ওইদিন দুপুরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আটকের পর তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ছাত্র আন্দোলনে ভাটারা থানায় দায়ের করা এনামুল হক হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। সেই মামলার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা আন্দোলন দমনে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে একটি প্রিজনভ্যানে করে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে মঙ্গলবার (২০ মে) চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া জামিনে মুক্তি পান। পরে সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের মহিলা কারাগারের জেল সুপার কাওয়ালিন্নাহার বলেন, দুপুরে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে সেগুলো যাচাইবাছাই ও নতুন মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে সাড়ে ৩টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।