ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ওই স্কুলের আরো তিন শিক্ষক। মঙ্গলবার ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুর রহমান এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
তিন শিক্ষক হলেন- সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক বাবুল কুমার কর্মকার, গণিতের শিক্ষক জগদিশ চন্দ্র পাল, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক জান্নাতুল নেসা। গত ২২ এপ্রিল ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার তিন শিক্ষকসহ চারজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাক্ষীরা ছিলেন ওই স্কুলের তিন শিক্ষক আসিয়া কামাল, গোলাম সারওয়ার ও মাহাবুবুল হক এবং ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাকারী চিকিৎসক ডা. জুবায়দুর রহমান। গত বছরের ২২ আগস্ট রুদ্ধদ্বার কক্ষে ধর্ষিতা ছাত্রীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এর আগে ধর্ষিতার মা এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।
গত বছরের ৭ মার্চ পরিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা পর এ মামলার ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা দিবা শাখার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১১ সালের ৫ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা মাহমুদুল হক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রথমে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথমে ধর্ষণ করে পরিমল। এ সময় ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি মোবাইলে ভিডিও করা হয়। পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে ১৭ জুনও ধর্ষণ করা হয়।
মামলার পর ২০১১ সালের ৬ জুলাই পরিমল জয়ধরকে কেরানীগঞ্জে পরিমলের স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর অধিকতর তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবে খোদা ভিকারুন নিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখা প্রধান লুৎফর রহমান ও অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে শুধু পরিমল জয়ধরকে অভিযুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্যদান শেষে তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজ মিয়া।