দেখতে দেখতে ৩৭ বছরের গণ্ডি পেরিয়ে ৩৮-এ পা রাখলেন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। তবু যেন চিরতরুণ! ফুটবল মাঠে ৯০ মিনিটের দৌড়েও নেই কোনো হেরফের। একই রকম ম্যাজিক তার পায়ে।
নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ থেকে বার্সেলোনায় পাড়ি জমানো, স্প্যানিশ লা লিগায় নৈপুণ্য ছড়িয়ে বিশ্বসেরা খ্যাতি অর্জন, সবশেষ কাতার বিশ্বকাপ জয়-লিওনেল মেসির উত্থানের দৃশ্য সোনালী অক্ষরে লেখা রয়েছে ফুটবলের ইতিহাসে। বিশ্বকাপ জিতে ফুটবল বিশ্বের শাসক উপাধি পাওয়া মেসি আজ ৩৮ বছরে পদার্পণ করলেন। শুভ জন্মদিন বিশ্বজয়ী সুপারস্টার।
১৯৮৭ সালের ২৪ জুন, আর্জেন্টিনার ছোট্ট শহর রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন লিওনেল মেসি। হোর্হে মেসি এবং সেলিয়া কুচেত্তিনি দম্পতির তৃতীয় সন্তান তিনি। ১৯৯৫ সালে স্থানীয় ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে ফুটবল যাত্রা শুরু মেসির। তবে অল্প বয়সেই জটিল রোগে পড়েন তিনি। ১০ বছর বয়সে হরমনজনিত সমস্যা ধরা পড়ে মেসির। সে সময় তার চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে প্রায় ৯০০ ডলার খরচ হতো।
কিন্তু তার বাবা-মায়ের সেটার চিকিৎসা করার মতো সামর্থ্য ছিল না। শঙ্কায় পড়ে যাওয়া মেসির জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসে বার্সেলোনা। ক্ষুদে প্রতিভাকে ভিড়িয়ে চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় কাতালান ক্লাবটি। সুযোগ করে দেয় বিশ্ব জয়ের। ২০০০ সালে বার্সেলোনার যুব দলে যোগ দেয়া মেসি ২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বার্সার সিনিয়র দলে সুযোগ পেয়ে যান। এরপর থামেননি মেসি। রচনা করেন রূপকথা।
বার্সেলোনার হয়ে বর্ণাঢ্য ক্লাব ক্যারিয়ারে সব শিরোপা জিতেছেন লিওনেল মেসি। ব্লাউগ্রানাদের নীল-মেরুন জার্সি গায়ে ৭৭৮টি ম্যাচে ৬৭২ গোল করা মেসি। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে জেতেন ৩৪টি শিরোপা। এর মধ্যে রয়েছে দলটি লা লিগা টাইটেল, ৭টি কোপা দেল রে শিরোপা, ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা। ক্লাব ক্যারিয়ারে সাফল্যের কমতি না থাকলেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির অর্জন ছিল শূন্য। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জিতে সেই অভাব মোচনের শুরু। এরপর গত বছর ফিনালিসিমা জেতেন মেসি। সবশেষ ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করে অমরত্ব পান তিনি।