তাহসানের সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সময় ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অংশ নিয়ে অকপটে তুলে ধরেছেন সেই কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতা।
মিথিলা বলেন, ‘২০১৫ সালে আমরা আলাদা থাকতাম। তখনও মনে হতো—সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি অপেক্ষা করছিলাম, মানসিকভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। ২০১৭ সালে বুঝতে পারি—এই সম্পর্ক আর টিকবে না।’
তখন তিনি একজন তরুণী মা, কোলে ছোট্ট সন্তান। বয়স ও অভিজ্ঞতা—দুটোই সীমিত, অথচ দায়িত্ব ছিল বিশাল। স্মৃতিচারণায় মিথিলা বলেন, ‘আমি জানতামই না কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’
সে সময় তার একমাত্র ভরসা ছিল নিজের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। মিথিলা বলেন, ‘মেয়েদের অবশ্যই একটা নিজস্ব জায়গা থাকা উচিত—না সেটা বাবার বাড়ি, না শ্বশুরবাড়ি; বরং নিজের বাড়ি।’
বিয়ের পরও পড়াশোনা ও চাকরি চালিয়ে গেছেন তিনি। বলেন, ‘তখন এত স্বাধীনতা ছিল না, যে একা বাচ্চা মানুষ করতে পারি। কিন্তু চেষ্টা করে গেছি। একা জীবন, ভাঙা সম্পর্ক আর অসমাপ্ত অনুভব নিয়েও লড়েছি।’
এক সময় তাহসান-মিথিলা ছিলেন পর্দার আদর্শ জুটি। “আমার গল্পে তুমি”, “মিস্টার অ্যান্ড মিসেস”, কিংবা “ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম”—তাদের অভিনীত নাটক ও গানে মেলে ধরেছিলেন প্রেমের আবেগঘন রূপ।
কিন্তু বাস্তব জীবন তো নাটকের মতো নয়। কিছু সম্পর্ক টেকে না, তবুও থেকে যায় স্মৃতির গল্প হয়ে।