এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে বুঝি হাত ফসকে বেরিয়ে যাবে। না, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ রানের জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।
কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান করে বাংলাদেশ।ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন। জবাবে খেলতে নেমে ৪৮ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩২ রানের বেশি করতে পারেনি লঙ্কানরা।
২৪৯ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই পাথুম নিশাঙ্কাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। তিনে নেমে ধাক্কা সামলে নেন কুশল মেন্ডিস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নিশান মাদুশকাকে সঙ্গে নিয়ে ৪৫ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে ৫৬ রান করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। আর মাদুশকা করেন ২৫ বলে ১৭ রান।
তিন উইকেট হারিয়ে দলীয় একশ স্পর্শ করা লঙ্কানরা জয়ের পথেই ছিল। তবে হঠাৎ তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান বাংলাদেশি স্পিনাররা। ৬ রান করা আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন শামীম হোসেন।
তকামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান তানভীর। আর দুনিথ ভেল্লালেগেকে দ্রুত সাজঘরে ফেরান শামীম। ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন জনাইথ লিয়ানাগে। তবে ১৬ বলে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি হাসারাঙ্গা। তাকে তুলে নেন মিরাজ।
মহেশ থিকশানাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তানভীরের বলে রিশাদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এই উইকেট নিয়ে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ফাইফার পেয়েছেন এই স্পিনার।
শেষদিকে লিয়ানাগে একাই লড়াই করেছেন। ৮৫ বলে করেছেন ৭৮ রান। তবে তাকে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি। দুশমন্থা চামিরা ৩১ বলে করেন ১৩ রান। আর আসিথা ফার্নান্দো অপরাজিত ছিলেন ৩ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ৩৯ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন তানভীর। এ ছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি মিরাজ ও শামীম হোসেন।
এর আগে ৪৫ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এ ছাড়া ৫১ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়।