আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড়ো সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষদিকে ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৪ রান। জিততে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ১৫৫ রান।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ওঠে ৫৯ রান। তবে সপ্তম ওভারে রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাইফ হাসান (২৮ বলে ৩০ রান)।
এরপর মাঠে নামা লিটন দাস স্বচ্ছন্দে খেলতে না পেরে ১১ বলে ৯ রান করে আউট হন। যদিও অপর প্রান্তে দারুণ ব্যাট করছিলেন তানজিদ তামিম। তিনি মাত্র ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৫২ রান করে বিদায় নেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা।
মাঝে তাওহিদ হৃদয় ২০ বলে ২৬ রান, শামীম হোসেন ১১ বলে ১১ রান, জাকের আলী অনিক ১৩ বলে ১২ রান ও নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলেন।
আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ খান ও নুর আহমাদ নেন ২টি করে উইকেট। একটি উইকেট শিকার করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
শুরুটা দারুণ করলেও শেষটা ভালো করতে পারলো না বাংলাদেশ। একটা সময় ১২ ওভারে ২ উইকেটে ৯৫ রান করেছিল টাইগাররা। কিন্তু শেষ ৪৮ বলে মাত্র ৫৯ রান নিতে পেরেছে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। ফিনিশিংটা ভালো করতে পারলে আরো বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারত বাংলাদেশ। হবে কি করে শেষ ৪৮ বলের ১৮ টাতে কোনো রান নিতে পারেনি লিটনরা।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, নুরুল হাসান, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), সেদিকুল্লাহ অটল, ইবরাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, করিম জানাত, আজহমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান (অধিনায়ক), নুর আহমাদ, এএম গজনফার, ফজলহক ফারুকি।








































