
ফাইল ছবি
দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, “শারদীয় উৎসবকে ঘিরে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার মতো কোনো অপচেষ্টা চালাতে না পারে, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।”
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের মধ্য দিয়েই বহুকাল ধরে মানুষ মিলেমিশে ধর্ম পালন করে আসছে। শরতের কাশফুলের স্নিগ্ধতায় দুর্গোৎসব অন্ধকার থেকে আলোর উদ্ভাসনের বার্তা নিয়ে আসে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, “উৎসবের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব ফুটে ওঠে। তাই ধর্ম যার যার হলেও রাষ্ট্র ও নিরাপত্তা সবার। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা রক্ষা করা রাষ্ট্রের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব।”
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে নিশ্চিন্তে সারাদেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করুন। বিএনপি বিশ্বাস করে—‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’।”
অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক পৃথক বাণীতে অভিযোগ করেন, আওয়ামী সরকারের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বারবার সাম্প্রদায়িক উসকানি ও ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, “এখনও অশুভ চক্র সক্রিয়। তবে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে পূজামণ্ডপ পাহারা দিচ্ছে। শান্তি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তাদের প্রতিহত করতে বিএনপি অঙ্গীকারাবদ্ধ।”






































