কেউ কি মার্কিন মুলুকে গিয়ে বিমানের জরুরি অবতরণ করাতে চান? খুব সহজ একটা জিনিস করতে হবে। কয়েকটা পর পর হাঁচি, তার পর আস্তে করে বলুন, ‘আমার বোধহয় ইবোলা হয়েছে!’ ব্যস, আর দেখতে হবে না। দরকার হলে বিমান ঘুরিয়ে নিয়ে কাছাকাছি যে বিমানবন্দর রয়েছে, সেখানেই অবতরণ করিয়ে দেওয়া হবে।
ঠিক যেমনটা হল ইউএস এয়ারওয়েজের বিমানের এক প্যাসেঞ্জারের সঙ্গে। নিছক ইয়ার্কির ছলেই ইবোলার কথা মুখ ফুটে উচ্চারণ করে ফেলেছিলেন। তার উপর তার এমনিতেই সর্দি-জ্বর হয়েছিল। সব মিলিয়ে বিমানের মধ্যে হুলুস্থুল কাণ্ড। কথা শোনা মাত্রই পাশের যাত্রীর আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড়। রুমাল-তোয়ালে যা পেয়েছেন নিয়ে নাকে চাপা দিয়ে আর্ত চিৎকার।
একে একে সবার কানে খবর পৌঁছতেই বিমানের মধ্যে সকল যাত্রীরা ‘ত্রাহি ত্রাহি’ রব ছাড়ছেন। সেই রবে সাড়া দিয়ে বিমান-সেবিকারা বিমান চালককে জানান। চালক বিমান ঘুরিয়ে নিকটবর্তী পুন্টা কানা বিমানবন্দরে যোগাযোগ করে জরুরি অবতরণ করান। এ দিকে যার জন্য এক কাণ্ড, তিনি তো চুপ। পুন্টা কানা থেকে চার জন অফিসার রীতিমতো সাজগোজ করে (‘হ্যাজ-ম্যাট’ পোশাক) বিমানে উঠে তাকে নামিয়ে নিয়ে চলে যান। এরই মধ্যেই প্যাট্রিক নার্ভায়েজ নামে এক যাত্রী গোটা ঘটনাটি মোবাইলে তুলে রাখেন।
ওই যাত্রী যতই বলেন, ‘আরে বাবা, আমার কিছু হয়নি। আমি ও কথা এমনিই বলেছিলাম।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা। তাকে নামিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পাসপোর্ট পরীক্ষা করে তবে শান্তি। কিন্তু তত ক্ষণে প্রায় দু’ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে বিমান। যাত্রীরা তো রেগে কাঁই। শুকনো কথায় কি আর চিড়ে ভেজে! কাঁচুমাচু হয়ে ওই যাত্রী ফিরে আসার পর কত যে রক্তচক্ষু তাকে দেখতে হয়েছিল তা গুনে শেষ করা যাবে না! একজন যাত্রীই পাঁচ বার করে চোখ রাঙিয়ে তবে বোধহয় শান্ত হয়েছেন।– ওয়েবসাইট।