দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর সনদ গৃহীত হওয়ার ৪১তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে সার্ক কৃষি কেন্দ্র (এসএসি)। এ উপলক্ষে গত সোমবার ঢাকায় একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার কৃষিক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। সার্ক সনদটি প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর গৃহীত হয়েছিল।
“ওয়ান হেলথ ধারণার আলোকে দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু-সমন্বিত লাইভস্টক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আঞ্চলিক সহযোগিতা” শীর্ষক মূল প্রবন্ধকে ঘিরে ছিল এ বছরের উদযাপন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (সার্ক ও বিমসটেক) মহাপরিচালক এস. এম. মাহবুবুল আলম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে সার্কের কার্যকর প্ল্যাটফর্মের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু-জনিত ঝুঁকি এই অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে। তিনি লাইভস্টক, খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘ওয়ান হেলথ’ কাঠামোর অধীনে আরও শক্তিশালী আঞ্চলিক সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মোঃ আবদুছ ছালাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নে আঞ্চলিক সংহতি, জ্ঞান-বিনিময় ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। স্বাগত বক্তব্যে সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোঃ হারুনূর রশীদ কেন্দ্রের চলমান কার্যক্রম, অর্জন এবং ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার তুলে ধরেন। তিনি বিশেষত সমন্বিত গবেষণা, কৃষি উদ্ভাবন, প্রযুক্তি বিনিময় এবং প্রমাণভিত্তিক নীতি প্রণয়নে কেন্দ্রের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশসমূহের দূতাবাস ও হাইকমিশনের প্রতিনিধি, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, গবেষক এবং উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে এসএসি-এর দুটি নতুন প্রকাশনা—“দক্ষিণ এশিয়ায় পারিবারিকভাবে পরিচালিত টেকসই প্রাণিসম্পদ খামারি: ইউএনডিএফএফ ও এসডিজি অর্জনে ভূমিকা” এবং “সার্কভুক্ত দেশসমূহে তেলবীজ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি”—উন্মোচন করা হয়।
