Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পাকিস্তানে সীমান্ত বিস্ফোরণে নিহত ৫০

pakistan

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং একমাত্র সীমান্ত ক্রসিং ওয়াগাতে এক বোমা বিস্ফোরনে অন্তত ৫০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

chardike-ad

বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ৭০ জনেরও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশংকাজনক।

সীমান্তের পাকিস্তান অংশে এই বিস্ফোরণকে আত্মঘাতি হামলা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সন্ধ্যায় দুদেশের সীমান্তরক্ষীদের পতাকা নামানোর ঐতিহ্যবাহী কুচকাওয়াজ শেষ হওয়ার পরপরই এই বিস্ফোরণ ঘটে।

ওয়াগার এই সীমান্ত ক্রসিং-এ প্রতিদিনই সন্ধ্যার আগে ভারত আর পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে একটি প্যারেড বা কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হয়।

সেটি দেখতে সেখান পর্যটক সহ অনেক মানুষ ভিড় করেন।

এই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সীমান্ত ক্রসিং থেকে ৫০০ মিটার দূরে পাকিস্তানের দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে।

পাকিস্তান পাঞ্জাবের পুলিশ প্রধান বিবিসিকে বলেছেন, বিস্ফোরণে সীমান্তরক্ষা বাহিনী পাকিস্তান রেঞ্জার্সের তিনজন সদস্যও নিহত হয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণে আশে-পাশের অনেক স্থাপনা উড়ে গেছে। অন্তত ২৫-৩০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।

ঠিক কারা এই হামলার পেছনে ছিল পাকিস্তানের কর্মকর্তারা তা এখনো নিশ্চিত নন।

তবে পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মুশতাক সুকেরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জঙ্গীরা ওয়াগা সীমান্তে হামলা করতে পারে, এরকম গোয়েন্দা তথ্য তাদের কাছে ছিল। সে জন্য সেখানে নিরাপত্তার কড়াকড়িও ছিল।

তিনি বলছেন, আত্মঘাতী হামলাকারিরা যে কুচকাওয়াজস্থল পর্যন্ত যেতে পারেনি, তা নিরাপত্তা ব্যবস্থার এই কড়াকড়ির কারণেই।

পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের কথায় এটা স্পষ্ট যে তারা মূলত কোন ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠীকেই সন্দেহ করছেন।

কিন্তু ঠিক কোন গোষ্ঠীটি এর পেছনে আছে, তার কোন ধারণা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।

ওদিকে দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, এই ঘটনার পর ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সাথে সার্বক্ষণিক যোগযোগ রাখছে।

সন্ধ্যের পর দুদিক থেকেই সীমান্তের গেটটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে সোমবার এটি নিয়ম মাফিক খুলে দেয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।