Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এক দশকে বিশ্বে ৭০০ সাংবাদিক খুন, বাংলাদেশে ১১

journalistবাংলাদেশের ১১ জনসহ গত এক দশকে সারা বিশ্বে ৭০০ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করার কারণেই তাদের পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু যথাযথ তথ্য–প্রমাণের অভাবে কিংবা রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকায় এসব হত্যাকাণ্ডের ৯০ ভাগেরই কোনো তদন্ত হয়নি। এ ছাড়া বাংলাদেশের চারজন সাংবাদিকের হত্যা মামলার তথ্য জানতে চাইলেও সাগর-রুনিসহ তিনজন হত্যার ব্যাপারে কোনো তথ্যই পায়নি ইউনেসকো।

২ নভেম্বর ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তি অবসানে আন্তর্জাতিক দিবস’ (ইন্টারন্যাশনাল ডে টু অ্যান্ড ইমপিউনিটি ফর ক্রাইমস অ্যাগেইনস্ট জার্নালিস্টস) উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেসকো)। গত ৩০ অক্টোবর এই বিবৃতি দেয়া হয়। গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রতিবছরের ২ নভেম্বর এই দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

chardike-ad

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার যথাযথ বিচার না হওয়া এটাই প্রমাণ করে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেকোনো অপরাধ করেই পার পাওয়া যায়। এতে বলা হয়, এ মাসের শেষে সাংবাদিক হত্যার তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ইডনেসকোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা। তাতে তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও দায়মুক্তির বিপদের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরবেন।

প্রতিবেদনটি অবশ্য এরই মধ্যে ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল—এই আট বছরে সারা বিশ্বে ৫৯৩ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরব দেশগুলোতে ১৯০ জন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১৭৯, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান এলাকায় ১২৩, আফ্রিকায় ৭৬ এবং ইউরোপ-আমেরিকা অঞ্চলে ২৫ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

নিহত ৫৯৩ জনের মধ্যে ২৪৪ জনই পত্রিকার সাংবাদিক। এ ছাড়া ১৫৪ জন টেলিভিশনের, ১২৩ জন রেডিওর, ৪১ জন বিভিন্ন অনলাইনের এবং বাকিরা অন্যান্য মাধ্যমের সাংবাদিক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনেসকো বাংলাদেশে নিহত চারজন সাংবাদিকের মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে তথ্য চেয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নিহত বেলাল হোসেন দফাদারের মামলাটির তদন্ত চলছে। তবে ২০১২ সালের ১৫ জুন নিহত গ্রামের কাগজ-এর সাংবাদিক জামালউদ্দিন, ১১ ফেব্রুয়ারি নিহত এটিএন বাংলার মেহেরুন রুনি ও মাছরাঙার সাগর সরওয়ারের মামলার বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইউনেসকোর অঙ্গীকার। পৃথিবীর যেখানেই কোনো সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, সেটি নজরে আসামাত্রই ইউনেসকোর মহাপরিচালক বিবৃতি দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে ২০১২ সালের ১৫ জুন নিহত গ্রামের কাগজ-এর সাংবাদিক জামালউদ্দিন, ১১ ফেব্রুয়ারি নিহত এটিএন বাংলার মেহেরুন রুনি ও মাছরাঙার সাগর সরওয়ার, ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নিহত খুলনার জনবাণী পত্রিকার সাংবাদিক বেলাল হোসেন দফাদার, ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর নিহত সমকাল-এর গৌতম দাস, একই বছরের ৩১ মে নিহত কুমিল্লার মুক্তকণ্ঠ-এর সম্পাদক গোলাম মাহফুজ, ২০০৪ সালের ২৪ অক্টোবর নিহত এশিয়ান এক্সপ্রেস-এর শহীদ আনোয়ার, ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর নিহত দুর্জয় বাংলার দীপঙ্কর চক্রবর্তী, ২২ আগস্ট নিহত আজকের কাগজ-এর সাংবাদিক হোসেন কামাল, ২৪ জুন নিহত দৈনিক জন্মভূমির সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালু ও ২০ জানুয়ারি নিহত নিউ এজ-এর সাংবাদিক মানিক সাহার কথা উল্লেখ করা হয়। এসব ঘটনায় ইউনেসকোর মহাপরিচালক যেসব বিবৃতি দিয়েছেন, সেগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে।