সোমবার বিকালে গুলশানে দলের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে গাড়িতে বসে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কী খেয়েছেন তা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক গুঞ্জন চলছে।
পূর্ব ঘোষিত কালো পতাকা দিবসে পল্টনে আহুত সমাবেশে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগে থেকেই মারমুখী পুলিশ ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে রেখেছিল। বাইরে ছিল বালুর ট্রাকসহ কয়েক স্তরের বাধা। ভেতরে দলীয় কর্মীদের মুহূর্মূহু শ্লোগান। এ নিয়ে যখন টান টান উত্তেজনা, লাখ লাখ মানুষের চোখ ভবন ও খালেদার দিকে, তখনই দেখা গেল তিনি গাড়ির ভেতর বসে ধীর স্থিরভাবে কি যেন খাচ্ছেন। সারাদেশে যথন প্রবল আতঙ্ক, স্বাভাবিক যোগাযোগ ভেঙ্গে পড়েছে, জনজীবন বিপর্যস্ত তখন গাড়িতে বসে বিএনপি নেত্রীর নির্বিকারভাবে কিছু একটা খাওয়ার দৃশ্যে তাই অনেকেরই চোখ আটকে যায়। আর তা নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা, বাড়তে থাকে কৌতুহল।
রাজধানীর গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়িটি ঘিরে গত শনিবার থেকেই টানটান উত্তেজনা। কারণ এই বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়। যেখানে আজ ৫ জানুয়ারি সোমবারের সমাবেশ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত শনিবার থেকে কার্যত অবরুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা।
বাড়িটির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে লম্বালম্বি সড়কটি আধা কিলোমিটার মতো। এটিই ওই কার্যালয়ে আসা-যাওয়ার একমাত্র পথ। গতকাল রোববার মধ্যরাত থেকে এই সড়কটিতে ১৪টি ছোট-বড় ট্রাক ও ৩টি পুলিশ ভ্যান আড়াআড়ি করে রাখা। আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কার্যালয়ের প্রধান ফটকে লাগিয়ে দেওয়া হয় তালা। পকেট গেটেও তালা লাগায় পুলিশ।
এরকম পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া বের হবেন কি না, বা পুরো পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়- তা জানতে টেলিভিশনের পর্দা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে লাখো উৎসুক চোখের ভিড়।
এর মধ্যে বিকেল পৌঁনে ৪টার দিকে কার্যালয়ের নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে কালো পতাকা হাতে সামনে রাখা গাড়িতে ওঠেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এসময় কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা ফটক খুলে দেওয়ার দাবিতে কালো পতাকা হাতে স্লোগান দিতে থাকে। বিকেল ৪টার দিকে তাদের ওপর পিপার স্প্রে করে পুলিশ।
এর কিছুক্ষণ পর গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় খাবার খেতে দেখা যায় বেগম জিয়াকে। তবে কী খাচ্ছিলেন তিনি তা জানা যায়নি। এ নিয়ে চলছে গুঞ্জন।
এর আগে দুপুর ২টার দিয়ে ২৫০ প্যাকেট খাবার দায়িত্বরত পুলিশের মাঝে বন্টণ করে ছাত্রদল।
তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এই খাবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাঝে প্রদান করেন। তিনি নদ্দা ম্যাগপাই হোটেল থেকে ২৫০ প্যাকেট খাবার কিনে আনেন। খাবারের মধ্যে ছিল, ভাত, শবজি,ডাল, ডিম ও মুরগির রোস্ট।
তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আউয়াল বলেন, আমরা যা করছি তা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশেই করছি।
সৌজন্যেঃ অর্থসূচক