Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিদেশী কর্মী নিয়োগে কর বৃদ্ধি না করার আহ্বান সিঙ্গাপুরে

singapurবিদেশী কর্মী নিয়োগে আরোপিত কর আর না বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশন। গতকাল বুধবার সরকারের প্রতি সংগঠনটি এ আহ্বান জানায়। খবর এএফপি।

গত সপ্তাহে সরকারের কাছে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে সংগঠনটি জানিয়েছিল, মধ্য স্তরের দক্ষতাসম্পন্ন ‘এস পাস’ বহনকারী বিদেশী শ্রমিকদের ওপর কর তুলে নিতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসা (এসএমই) আসন্ন বাজেটে কীভাবে সহায়তা করতে পারে, সে বিষয়ে এ প্রতিবেদনে গুরুত্ব দেয়া হয়।

chardike-ad

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বর্তমানে সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলোকে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তার মধ্যে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় অন্যতম। এর মধ্যে বিদেশী শ্রমিকদের জন্য প্রদেয় কর এই ব্যয় আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। এস পাস হোল্ডারদের ওপর নির্ভরশীলতা যেমন বাড়ছে, তেমনি তাদেরকে সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধির কথাও বলা হচ্ছে। ফলে এসব কর্মীকে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়োগদাতাদের কাছে কর দেয়া বাড়তি বোঝা হয়ে উঠেছে।

সিঙ্গাপুরের এসএমই যাতে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতা সক্ষম হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য একক কর্তৃপক্ষের হাতে দায়িত্ব দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। এছাড়া প্রডাক্টিভিটি অ্যান্ড ইনোভেশন ক্রেডিট (পিআইসি) স্কিম সম্প্রসারিত করতে পিআইসি বোনাস আরো তিন বছর বাড়িয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বহাল রাখারও অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সিঙ্গাপুর সরকার পিআইসি স্কিম চালু করে। এ স্কিমের আওতায় আবিষ্কার, গবেষণা, উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের মতো কার্যক্রমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত কর মওকুফ বা বিশেষ ভাতা অথবা ৬০ শতাংশ নগদ অর্থ দেয়া হয়।

ইনল্যান্ড রেভিনিও অথরিটি অব সিঙ্গাপুরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পিআইসি স্কিম ইয়ার্ন অব অ্যাসেসমেন্টের (ওয়াইএএস) আওতায় যারা বিনিয়োগ করবে, তাদেরকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বোনাস দেয়া হবে। এই বোনাসের সুবাদে উদ্যোক্তারা ব্যবসা পরিচালনা ব্যয়গুলো অনেকটা সামলে নিতে পারে। এতে করে উৎপাদনশীলতা ও উদ্ভাবনে উত্সাহী করে তোলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।