Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অভিবাসীদের অপরাধ ভোগাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াকে

immigration-checkhingদক্ষিণ কোরিয়াতে অবৈধভাবে বসবাসরত ভিনদেশী নাগরিক দ্বারা সৃষ্ট অপরাধের পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই হতাশাজনক যে, এদের মধ্যে অনেকেই বৈধতার ছত্র ছায়ায় বসবাস করছে, ফলে তাদেরকে খুঁজে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে কোরীয় পুলিশের।

যদিও গত শতকে এই জাতীয় অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরিমাণ খুব কম, তথাপি দেশটিতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের। পুলিশের চলতি এক জরিপ বলছে, ২০১২ তে বিদেশীদের হাতে হয়ে যাওয়া অপরাধের সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৬ শত ৬৩টি, যেখানে ২০০৮ সালে ছিল ২০ হাজার ৬ শত ২৩টি। আর ২০১৪ এর শুরুর সাত মাসেই অপরাধের পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৯ শত ২২টি। এর মধ্যে বেশী হয়ে থাকে খুন, ডাকাতি ও ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ।

chardike-ad

তবে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও লোকবল সংকট দূর করলেই এই সমস্যা দূরীকরণ করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। উদাহরণ স্বরূপ তারা পার্শ্ববর্তী দেশ জাপানের কথা উল্লেখ করেছেন। দেশটিতে ২০০৩ সালে বিদেশীদের মাধ্যমে অপরাধের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৪ শত টি, যা কমে ২০০৮ এ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ২৭ টিতে। কোরিয়ার চেয়ে অনেক বেশী সংখ্যক বিদেশী সেখানে বাস করলেও বৃদ্ধির হার মাত্র ২.৮ শতাংশ, যেখানে কোরিয়াতে ১১.৬ শতাংশ। জাপান সরকারের নেওয়া পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা, টাস্কফোর্স গঠন, ইমিগ্রেশন অফিসার বৃদ্ধি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানোসহ সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ফলেই এই পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। জাপানে একজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ৬৯ জনকে পর্যবেক্ষণ করে, কোরিয়াতে যা কিনা ১ হাজার ১ শত ৫৩ জন। এই বিষয়ে কোরিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের লি দং হি বলেন, “ অবৈধ অভিবাসীদের দিকে নজরদারি না করা মানে তাদেরকে আইনের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাওয়া। কোরিয়ার উচিৎ জাপান থেকে শিক্ষা নেওয়া, লোকবল বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া ও অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা”।