Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘প্রবাসে নারীর নিরাপত্তায় প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই’

WOMEN-WOEKERসৌদি আরবসহ বিশ্বের যেকোনো দেশে অভিবাসী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জনশক্তি খাত সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে সব দেশের দূতাবাসে নারী কনসালটেন্ট নিয়োগের দাবিও জানান তারা।
শনিবার রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে ‘নিরাপদ নারী অভিবাসন: বায়রা ও সুশীল সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তারা। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রটিং এজেন্সিজ (বায়রা) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইওএম প্রধান সরৎ দাস বলেন, অভিবাসন প্রক্রিয়ায় নারী-পুরুষসহ সবার অংশগ্রহণ সমান। নারীরা নিজ দেশ থেকে বিদেশে নতুন পরিবেশে গিয়ে মানিয়ে নিতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। অনেক সময় পুরুষের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হন। তবে তাদের যে দেশে পাঠানো হবে সেখানকার পরিবেশ, ভাষা ও কাজের ধরণ সর্ম্পকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠালে এ সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার নারীদের প্রশিক্ষণের পরিবেশ তৈরি করতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য এ খাতে বিরাট সম্ভাবনা তৈরি করবে। ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার নারীরা মধ্যপ্রাচ্য বিমুখ হওয়ায় বাংলাদেশের নারীদের এ বাজার দখলের সুযোগ রয়েছে।

chardike-ad

আইওএম’র প্রধান বলেন, অভিবাসী নারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য আইওএম, এনআরবিসহ অনেক সংগঠন কাজ করে।

সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ থেকে শুধু গৃহকর্মীই পাঠানো হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ উন্নত দেশগুলোতে ক্লিনার, গার্মেন্টস কর্মী, নার্স, দোকানের কর্মচারীসহ নানা পেশায় এশিয়ার অন্যান্য দেশের নারীরা কাজ করছেন।

কেরালার উদাহরন দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ল্যাব-এইড ও স্কয়ার হাসপাতালসহ বিশ্বের সব বড় হাসপাতালে কেরালার নার্সরা কাজ করেন। অথচ বাংলাদেশের অর্ধশিক্ষিত মেয়েদের একটু প্রশিক্ষণ দিলেই তারা এ কাজ করতে পারে।

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশের নারীদের অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও শিক্ষিত এ ৩টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উন্নত দেশে পাঠালে তারা ভালোভাবেই টিকে থাকতে পারবে। তাদের যে দেশে পাঠানো হবে সে দেশের আবহাওয়া, কাজের পরিবেশ ও মানুষের আচার-ব্যবহার সর্ম্পকে উন্নত প্রশিক্ষণ দিলে কোনো সমস্যা থাকবে না।

বাংলাদেশ অভিবাসী নারী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সুমাইয়া ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের নারীরা ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কার নারীদের তুলনায় শারীরিকভাবে দূর্বল। তবে তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে পারলে যে কোনো দেশের নারীদের তুলনায় সফল হবে।

সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে নারীদের নিরাপত্তার জন্য দূতাবাসে নারী কনসালটেন্ট নিয়োগের দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য ৪৭টি সরকারি কেন্দ্র রয়েছে। খুব শিগগিরই ৪৩৯টি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষিণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় বায়রা সভাপতি আবুল বাশার বলেন, সৌদি আরবে নারী রপ্তানির জন্য যে বেতনের চুক্তি করা হয়েছে তা সাময়িক। নারীদের প্রশিক্ষণের মান বাড়াতে পারলে বেতন বাড়ানো যাবে। আর প্রশিক্ষণে সরকারি তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি বায়রাকে সুযোগ দিলে নারী শ্রমিক রপ্তানি আরও বাড়ানো যাবে।