Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘বাংলাওয়াশ’ নিয়ে মধুর সমস্যায়…

bangladesh_team

ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো দলকে সবকটি ম্যাচে হারালে হোয়াইটওয়াশ বলা হয়। বছর দশেক আগেও এই শব্দটি বোধ হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের কাছে অতটা পরিচিত ছিল না। অনেকে এই শব্দটি শুনলেও হয়তো মানে বুঝত না।

chardike-ad

কিন্তু বছর পাঁচেক ধরে এই শব্দটি তাদের কাছে এতটাই স্পষ্ট যে বাংলাদেশে কোনো দল খেলতে আসলে ভক্তদের মাঝে প্রশ্ন থাকে, ‘এবার ওদেরকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারবে তো বাংলাদেশ? বলতে পারেন এটি কোটি টাকার প্রশ্ন। সত্যিই তা-ই।

সঙ্গে এটাও বলে রাখা ভালো, হোয়াইটওয়াশ শব্দটাও একদিন হয়তো ভুলে যেতে পারে এদেশের ক্রিকেটভক্তরা। কেননা বাংলাদেশের বদৌলতে ক্রিকেট অভিধানে যোগ হয়েছে নতুন একটি শব্দ। সেটি হচ্ছে, ‘বাংলাওয়াশ’। রজনীকান্ত সেন ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতায় লিখেছিলেন ‘বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই; আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি ঝড়ে।’ সুতরাং ‘চড়ুই আর বাবুই পাখি’র উদাহরণ টেনে বলতে হয়, চড়ুই পাখির মতো ‘হোয়াইটওয়াশ’ শব্দটা অন্যদের তৈরি। বাবুই পাখির মতো আমাদের গড়া ‘বাংলাওয়াশ’ শব্দটি ব্যবহার করতে চাই।

এদিকে ‘বাংলাওয়াশ’ নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়েছে এদেশের মানুষ। কারণ এবারের প্রতিপক্ষ যে পাকিস্তান। ১৯৪৮ সাল থেকে এদেশের বাঙ্গালিদের সঙ্গে পাকিস্তানের যে লড়াইয়ের সূচনা হয়েছিল, তার মূলে ছিল বাংলা ভাষা। অতুল প্রসাদ সেনের কবিতায় বলা হয়েছে, ‘মোদের গর্ব মোদের আশা, আমারই বাংলা ভাষা।’

সুতরাং পাকিস্তানের বিপক্ষে এক আগে সিরিজ জেতাই ছিল স্বপ্নের মতো। এবার প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে টাইগারদের চোখের সামনে রাঙ্গিয়ে উঠছে পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের স্বপ্ন। সুতরাং এই সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করলে হয়তো ‘বাংলাওয়াশ’ই বলা শ্রেয়। এই অর্জন ষোলো কোটি বাঙ্গালিকে ভেতরে ভেতরে যে সেই পুরোনো ক্ষোভই উস্কে দেবে।

এ ছাড়া ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাই করার পর থেকেই আসলে শুরু এই ‘মধুর সমস্যা’র। তিন বছর পর নিউজিল্যান্ডকে আবারও হোয়াইটওয়াশ। সেখান থেকেই বাংলাওয়াশ, বাংলাওয়াশ, বাংলাওয়াশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই দুটি সিরিজ তো এই নামেই অমর হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।

অপরদিকে সাড়ে চার মাস আগে জিম্বাবুয়েকেও ৫-০-তে উড়িয়ে দেওয়ায় সমর্থকদের প্রত্যাশাটা অনেক উঁচুতে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও সেই সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। এখন আর টাইগারদের জন্য বাংলাওয়াশ বাড়াবাড়ি নয়!