কোরিয়ায় অবৈধ বিদেশী শ্রমিকদের সনাক্ত করতে অভিযান জোরদার করতে যাচ্ছে কোরিয়ান সরকার। তবে কোরিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবৈধ বিদেশী শ্রমিকদের শনাক্তকরণ অভিযানের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগে থেকেই জানিয়ে রাখবে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। কার্যক্রম চলাকালীন যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোরিয়া ইমিগ্রেশন সার্ভিস শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, “অবৈধ বিদেশীদের চিহ্নিত করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কারখানাসমূহে আকস্মিক অভিযান চালাতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে বড় ধরণের সংঘর্ষও হয়েছে কোথাও কোথাও যা কিনা মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় কোরিয়া অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এ ধরণের সরেজমিন পরিদর্শনের ব্যাপারে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে”।
কোরিয়ার অভিবাসন আইন অনুসারে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশীদের শাস্তিস্বরূপ ২০ মিলিয়ন উওন (১৮,০১০ ইউএস ডলার) জরিমানা বা সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া আগাম নোটিশে এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বছর এখানে প্রায় ১৭৬,০০০ বিদেশী শ্রমিককে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে যা ২০১১ সালের তুলনায় ৫.১ শতাংশ বেশী।
উল্লেখ্য, অবৈধ শ্রমিকের খোঁজে দেশব্যাপী শিল্প কারখানাগুলোতে বিশেষ করে ক্ষুদ্র শিল্পভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহে বিনা নোটিশে অভিযান চালাতে গিয়ে শ্রমিকদের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন ইমিগ্রেশন সার্ভিসের লোকজন। বিগত পাঁচ বছরে এ ধরণের সংঘর্ষে অন্তত ১০৬ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ও ১৫৫ জন শ্রমিক হতাহতের শিকার হয়েছেন।