দীর্ঘ ১৬ বছর পর সেমিতে উঠে শিরোপার সুর দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছিল কোপার স্বাগতিক চিলি। ফাইনালে উঠতে বাধা ছিল শক্তিশালী পেরু। মঙ্গলবার সকালে তাদের বিদায় করে দিল সানচেজরা। ত্রাতার নাম ভারগাস। একটি নয়। দলের প্রয়োজনে দুটি গোল করে দেশকে ফাইনালে নিয়ে গেছেন তিনি।
ভারগাস প্রথম গোলটি করেন ৪২তম মিনিটে। ৬০ মিনিটের সময় মেডেলের আত্মঘাতী গোলে খেলা পেনাল্টিতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু ভারগাস ৬৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জয় নিশ্চিত করেন।
পেরু এদিন নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলেছে। ম্যাচের মাত্র ২০ মিনিটের সময় সেন্টারব্যাক কাম ডিফেন্ডার কার্লোস জ্যামব্রানো লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। দশজনের দলে পরিণত হয়েও চিলির চোখে চোখ রেখে লড়াই করে গেছে দলটি।
৪২তম মিনিটে সানচেজের বক্সে বাড়ানো বল অ্যারানগুইজ মিস করলেও তা চলে যায় ভারগাসের কাছে। পোস্টের কাছাকাছি বল পেয়ে জালে জড়াতে এতটুকু ভুল করেননি তিনি।
এরপর দশজনের পেরুকে চেপে ধরে চিলি। কিন্তু সুবিধা করতে পারছিল না। এর মাঝে আত্মঘাতী গোলে দলকে পেছনে ফেলেন চিলির মেডেল।
সমতায় ফিরে খেলা পেনাল্টিতে নিয়ে যাওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যায় পেরু। কিন্তু ৬৪তম মিনিটে আর গোল আটকাতে পারেনি তারা। ২৫ গজ দূর থেকে বল ধরে জালে জড়িয়ে দেন ওই ভারগাস। বাকীটা সময়ও পেরু বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু চিলির রক্ষণ ভাঙা সম্ভব হয়নি দশ জনের ওই দলের পক্ষে।