Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভারতে যৌথ হামলা চালাবে আল কায়েদা-আইএস!

isযৌথ ভাবে ভারতের মাটিতে খুব শিগগিরই একটি বড় ধরনের জঙ্গি হামলার জন্য তৈরি হচ্ছে সশস্ত্র সংগঠন আল কায়েদা ও আইএস । ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর বরাতে খবরটি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

বিভিন্ন সূত্রে সন্ত্রাসী হামলার আভাস পাওয়া গেছে উল্লেখ করে রাজনাথ সিং আনন্দবাজারকে জানান, সুকৌশলে পুরনো কর্মপদ্ধতি বদলে এই সংগঠনগুলো বিশেষ ভাবে সন্ত্রাসের জন্য ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির কাছে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

chardike-ad

রাজনাথ সিং বলেন, ‘কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হওয়ার পর ‘জঙ্গিদের’ মধ্যে হতাশা এসেছে। সেই হতাশা কাটানোর জন্য উপত্যকায় একটা বড় ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলার চেষ্টা চলছে।’

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই জিহাদি গোষ্ঠীগুলি অনেকদিন সিরিয়া ও ইরাকে বিশেষভাবে সক্রিয় থাকলেও এখন তারা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া এমনকি ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানেও ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজনাথ সিং বলছেন, ‘এখন পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে আইএস তাদের কৌশল বদলাচ্ছে। টুইটার এবং ফেসবুককে ছদ্মনামে ব্যবহার করা হচ্ছে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে প্রায় দু’হাজার আইএসআইএস সমর্থকের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিশেষত আরব জগতে ২০১০ থেকে এই গোষ্ঠী সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।’

২০০৩-এর ২০শে মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ইরাকে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তারপর ২০০৩-এর ৯ এপ্রিল মার্কিন সেনাবাহিনী সাদ্দাম হুসেনের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপরেই জারকোয়াই-এর নেতৃত্বে একটি গোষ্ঠী ইরাকে জিহাদি কার্যকলাপ শুরু করে। ২০০৩-এর অগস্ট মাসে ওই জারকোয়াই গোষ্ঠী বাগদাদে জাতিসংঘের দফতরে বোমা ছোড়ে। ২০০৪-এ জারকোয়াই বিন লাদেনের আনুগত্য স্বীকার করে এবং ইরাকে আল কায়েদা গোষ্ঠী তৈরি করে। বিন লাদেনের মৃত্যুর পর কিছু দিন চুপচাপ ছিল সে। ২০১৩-র ২৪শে জুলাই ইসরায়েল সেনাগোয়েন্দারা প্রথম সতর্কতা দেয় যে সিরিয়া বিশ্ব জিহাদের একটি কেন্দ্র হয়ে উঠছে। ২০১৪ সালে আইএস-র সমস্ত ফেসবুক-ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

রাজনাথ বলেন, ‘‘এই আইএস-র কার্যকলাপ সম্পূর্ণ আধুনিক। এরা ২০১৪-র জুলাই মাসে ডাবিক নামে একটি ইংরেজি পত্রিকা বের করেছে। খবর এসেছে, কাশ্মীর ও কেরলের মতো রাজ্যে এই পত্রিকা বেআইনি ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘এরা এখন সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকার মাধ্যমে সন্ত্রাসের মনস্তত্ত্বকে মতাদর্শের মাধ্যমে বিক্রি করার চেষ্টা করছে।’’

জাতিসংঘের বরাতে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়াতে শিশু-কিশোরদের মগজধোলাই করা হয়েছে যাতে দীর্ঘ মেয়াদে আনুগত্য পাওয়া যায়। এ বার ওরা কাশ্মীরে কিছু অল্পবয়সী ছেলেদের এই একই ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। ভারতে যে সব শহরগুলিতে সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য, সেখানে এরা বেশি সক্রিয়।