তৃতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক শ্রীলংকাকে ১৩৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ফলে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গেলো আজহার বাহিনী।
পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া ৩১৬ রানের চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি লংকান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে। আর এটা হতে দেননি পাক বোলাররাই। বিশেষ করে টেস্ট সিরিজে অভূতপূর্ব বোলিং করা ইয়াসির শাহ এদিনও ছিলেন উজ্জ্বল।
টপ অর্ডারে যা একটু লড়েছেন লাহিরু থিরিমান্নে। তিনি ৬৭ বলে চার বাউন্ডারিতে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। বাকি ব্যাটসম্যানদের একজনও ফিফটির কাছেও যেতে পারেননি। যেটা তিনশ স্কোর তাড়া করার জন্য বড় প্রয়োজন ছিল লংকানদের।
কেবল কুশল পেরেরা ২০, উপল থারাঙ্গা ১৬, দিনেশ চন্ডিমাল ১৮, তিলকরত্নে দিলশান ১৪ আর শেষের দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছেন সচিথ পাথিরানা (১৯)। ফলে ৪১.১ ওভারে ১৮১ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় শ্রীলংকার ইনিংস। ইয়াসির ২৯ রানে ৪টি এবং আনোয়ার আলী ২৪ ও ইমাদ ওয়াসিম ২৮ রানের বিনিময়ে ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রান তোলা পাকিস্তানের ইনিংসে কোনো সেঞ্চুরি নেই। সেখানে বড় ইনিংসের ভিতটা তৈরি করে দিয়ে যান দু’ওপেনার আহমেদ শেহজাদ এবং অধিনায়ক আজহার। তারা দু’জনে মিলে ওপেনিং জুটিতে তুলে ফেলেন ৯৩ রান। এতে শেহজাদের অবদান ৫৪ বলে ৪৪। আজহার রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়ে এক রানের জন্য ফিফটি মিস করেন। ৫৯ বলে চার বাউন্ডারির সাহায্যে তিনি খেলেন ৪৯ রানের ইনিংস।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়েন বোলিংয়ে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ মোহাম্মদ হাফিজ এবং উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ। দু’জনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। হাফিজ চার বাউন্ডারিতে ৬৪ বলে ৫৪ এবং সরফরাজ ৭৪ বলে সাত বাউন্ডারিতে করেন ৭৭ রান। বাকিদের মধ্যে সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক ২৯ বলে ৪২ এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান ২২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এতোদিন মিতব্যয়ী বোলার হিসেবে যার পরিচয় ছিল সেই লাসিথ মালিঙ্গা এদিন ১০ ওভার বল করে ৮০ রান দিয়ে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। ৪৯ রানে অন্য উইকেটটি পেয়েছেন পাথিরানা।