Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সালমানের মন্তব্যে ভারতজুড়ে মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ

salman-khanমুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলার অপরাধে সন্দেহভাজন ইয়াকুব মেমন নামের একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে মুম্বাই আদালত। আর সেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বলিউড সুপারস্টার অভিনেতা সালমান খানের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাস্তায় রাস্তায় সালমানের বিরুদ্ধে মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলায় অন্তত ২৫৭ জন মানুষ নিহত এবং ৭০০ মানুষ গুরতর আহত হন। আর সেই ভয়ঙ্কর হামলার সন্দেহ ভাজন প্রধান আসামি ছিলেন টাইগার মেনন। যাকে ভারতীয় আদালত ধরতে না পেরে তার ভাই ইয়াকুব মেননকে ধরে হাজতে পুরে মুম্বাই আদালত। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই দীর্ঘদিন ধরে চলা মুম্বাই হামলার ঘটনাটির মামলা চূড়ান্ত রায় হয়। আর সেই মামলায় টাইগার মেমনের ভাই ইয়াকুব মেমনকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেয় মুম্বাই আদালত।

chardike-ad

আদালতের দেয়া এমন রায়ের প্রেক্ষিতে ইয়াকুব মামলার পুনর্বিবেচনা দাবী করে উচ্চ আদালতে আপিল করেন, কিন্তু ইয়াকুবের এমন আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে মৃত্যুভিক্ষাও প্রার্থনা করেন ইয়াকুব।কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাও প্রত্যাখ্যান করেন।

এমন পরিস্থিতিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে মুখ খুললেন অভিনেতা সালমান খান। তিনি এ বিষয়ে গত ২৫ জুলাই থেকে একাধিক টুইট করেন। তিনি জানান, গত তিন দিন ধরেই ইয়াকুবের বিষয়টি তাকে ভাবিত করেছে। শেষপর্যন্ত ভয়ে ভয়েই মুখ খুলেছেন তিনি।

সালমান আদালাতের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, টাইগারের পরিবর্তে কেন তার ভাইকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হল। এটা কোন ধরণের বিচার। একজনের অপরাধে অন্যজন কেন সাজা ভোগ করবে, এমন প্রশ্নও ছুড়ে দেন সালমান। সালমান তার টুইটারে লিখেন, টাইগারকে ধরে শাস্তি দাও, ইয়াকুবকে নয়। অন্য একটি টুইটে সালমান বলেন, একজন নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলা মানে মানবতাকেই কুলুষিত করা।

সালমানের এমন টুইটারে উত্তাল পুরো ভারত। শিব সেনা এবং কট্টর হিন্দুবাদী নেতারা চটেছেন সালমানের এমন মন্তব্যে।রাস্তায় রাস্তায় সালমানের নামে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হচ্ছে। সালমানের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বার্তাও ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপি নেতা শত্রূঘ্ন সিনহা সালমানের করা এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তার বাবা সেলিম খানের উদ্দেশে বলেন, যদি সালমান এমনটা বলেই থাকে, তাহলে তার আবেগকে দমন করতে বলো।

অন্যদিকে আভা সিং নামের এক আইনজীবী সালমান খানের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, সালমান নিজেই একজন দাগি আসামি। তার অপরাধের জন্য ৫ বছরের জেলবাসের শাস্তি দিয়েছিল আদালত। অথচ সেই ইয়াকুব মেমনকে একজন নিরীহ মানুষ বলে দাবী করছে। তার মুখে এটা মানায় না। সে কি আমাদের দেশের আইনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না? এমনকি টুইটারে দেয়া সালমানের এমন মন্তব্যকে রাষ্ট্রবিরোধী বলেও উল্লেখ করেন ওই আইনজীবী।