Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আমিও বাকশালের সাপোর্টার : আইজিপি

igp
আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক

পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘আমিও বাকশালের সাপোর্টার। যখন বাকশাল গঠিত হয়েছিল, তখন সবাই লাইন ধরেছিল এর সদস্য হওয়ার জন্য।’

রোববার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

chardike-ad

তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সংসদে ভাষণে বলেছিলেন, সারাজীবন আমি সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছি। আর আজ আমি নিজেই সংসদে বসে বাকশাল গঠনের কথা বলছি। এখন থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার হবে।

‘তখন আমি এইচএসসির ছাত্র। বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণ শুনে আমি বাকশালের প্রতি সমর্থন জানাই। উদ্দেশ্য ছিল- সবাই মিলে দেশের উন্নয়ন করা। দেশের উন্নয়ন হয়ে গেলে আবার সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয়ে যেত।

‘বাকশাল হওয়ার ফলে কয়েক সপ্তাহেই দেশের উন্নতি হয়েছিল। জিনিসপত্রের দাম কমে গিয়েছিল। এমনকি নিজ দলেও শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। যাতে দলের মধ্যে খারাপ কেউ না থাকে। বঙ্গবন্ধু দেশ ও জনগণের স্বার্থেই বাকশাল গঠন করেছিলেন। আজকের দিনে যারা সরকারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছেন তাদের অনেকেই বাকশালের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।

‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কারো মনে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলে তাদের এ দেশের নাগরিক বলা যাবে না। বঙ্গবন্ধু সবা্র ঊর্ধে। সব দলের ঊর্ধে। দল যার যার, বঙ্গবন্ধু সবার। এটাই হওয়া উচিৎ। তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন না করলেও অন্তত সমর্থন করুন। না করলে চুপ থাকেন। কিন্তু একদিকে শোক পালন হবে অন্যদিকে ফুর্তিতে কেক কাটা হবে, এটা জাতি হিসেবে লজ্জাজনক। একজন নাগরিক হিসেবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।

‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আলাদা হতে পারে না।পৃথিবীর বহু দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম বললে বাংলাদেশকে চেনে। যারা বঙ্গবন্ধুকে মানতে চান না, তাদের এ দেশের নাগরিক থাকা উচিৎ না। সত্যকে মানতে হবে। পুলিশের পোশাক পড়ি বলে আমি কি এ দেশের নাগরিক না? সত্যকে জানার অধিকার আছে। এটা জানলে ও বললে রাজনীতি হয় না।

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দেশের প্রচলিত আইনে হয়েছে। জেলহত্যা মামলার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের যে বিচারকাজ চলছে সে ক্ষেত্রেও আত্মপক্ষ সমর্থন ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েই বিচারকাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই এসব করা হচ্ছে। কারণ, যে যতটুকু খারাপ কাজ করবে তার ততটুকু শাস্তি প্রাপ্য।’

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জননিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের আপনারা প্রতিহত করবেন। দেশের উন্নয়নে যারা কাজ করছেন, তাদের সম্মান করবেন। সত্যকে উৎঘাটন করবেন। মিথ্যাকে জানার চেষ্টা করবেন না। জাতির প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দেবেন।’

ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের সহকারী কমিশনার ইফতেখারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা সত্যকে আড়াল করে যে ইতিহাস বিকৃত করেছে তা জানা রাজনীতি নয়। একজন মেজরের কথায় ১৯৭১ সালে সবাই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এটা কীভাবে সম্ভব? এগুলো যারা বলে, তারা জ্ঞানপাপী। মূলত যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, ১৯৫২, ’৫৪, ’৫৯, ’৬৯, ’৭০ এবং চুড়ান্ত পর্যায়ে ’৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মধ্য দিয়ে।’(রাইজিংবিডি)