Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়ার ৫০টি সাবমেরিন নিখোঁজ : উত্তেজনা

submarineউত্তর কোরিয়ার ৫০টি সাবমেরিন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর সীমান্তের ওপারে পিয়ংইয়ংয়ের গুলি চালানোর হুমকিতে গভীর আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ দিকে সীমান্ত অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা প্রশমনে উত্তর ও দ. কোরিয়ার মধ্যে তিন দিন ধরে আলোচনা চললেও তেমন অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।

দ. কোরিয়া জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সাবমেরিন বহরের প্রায় ৭০ ভাগ দেশটির নিজস্ব বন্দর ত্যাগ করার পর সেগুলোকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়ার তল্লাশি বিমান ও নৌজাহাজগুলো কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের কাছে তল্লাশি চালায়। সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ছিল কোরিয়া যুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আকারের সাবমেরিন মোতায়েন।

chardike-ad

প্রশ্ন হলো ৫০টি সাবমেরিন, ১৪০০ টন রোমিও শ্রেণীর ও ১০০০ টন হুইস্কি শ্রেণীর জাহাজবহরকে বাণিজ্যিক বা যুদ্ধজাহাজে হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে, নাকি নিছক শক্তি প্রদর্শনের জন্য সাজানো হয়েছে তা কেউ জানে না। এক সামরিক মুখপাত্র এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের সব টহল সরঞ্জাম কাজে লাগাচ্ছি।

এ দিকে দুই কোরিয়ার সঙ্কট নিরসনে তিনি দিন ধরে বৈঠক চলছে। দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ব্লু হাউজ জানিয়েছে, রোববার দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের উপদেষ্টারা সীমান্তবর্তী পানমুনজম গ্রামে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। গ্রামটি ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজেড) বা অসামরিকীকৃত এলাকা নামে পরিচিত; যেখানে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চলছে।

তবে কোনো সংবাদ সংস্থাকে এ বৈঠকে উপস্থিতির অনুমোদন দেয়া হয়নি। আলোচনায় দ. কোরিয়ার প থেকে অংশ নিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা কিম ওন-জিন ও ইউনিফিকেশন মিনিস্টার হং ইয়ং-পিয়ু।

অন্য দিকে উত্তর কোরিয়া এ বৈঠকে তাদের সিনিয়র কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে, যার মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং-ওনের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত ওয়াং ইয়ং-সু রয়েছেন।

দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনের ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার কিম ইয়ো-হুন এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘দ.-উত্তর কোরিয়ার চলমান পরিস্থিতির কারণে দুই দেশ আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ গত শুক্রবার পিয়ংইয়ংয়ের প থেকে আলোচনার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়া হয়। এর পর সেকেন্ড ইন কমান্ড ওয়াংয়ের উপস্থিতির আবেদন জানিয়ে সংশোধিত প্রস্তাব দেয় উত্তর কোরিয়া।

এ দিকে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেণ করা হচ্ছে। এ সময় দুই দেশকেই সঙ্ঘাতের পথ পরিহার করে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মার্কিন কর্তৃপও এক বিবৃতিতে উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগী হতে উত্তর কোরিয়ার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দ. কোরিয়ার এক সেনা ইউনিটে বোমাবর্ষণ করে উত্তর কোরিয়া। এর পরিপ্রেেিত দ. কোরিয়া পশ্চিম সীমান্ত থেকে সাধারণ জনগণকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয় এবং পাল্টা গোলাবর্ষণ করে।

এ সময় দ. কোরিয়া ও মার্কিন যুদ্ধবিমান উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে টহল দেয়া শুরু করে। অন্য দিকে উত্তর কোরিয়া সীমান্তে লাউড স্পিকার ব্যবহার করে ‘প্রোপাগান্ডা’ চালানোর অভিযোগ করে পরবর্তী ‘৪৮ ঘণ্টার’ মধ্যে দ. কোরিয়াকে তা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয়।