Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

একাই ৭০০০ সিমের মালিক!

sim-cardএকজনের কয়টি সিম প্রয়োজন? একটি, দুটি, তিনটি- সর্বোচ্চ সাতটি! না, তিনি ৭ হাজার সিমের মালিক। বুঝতে আর বাকি থাকে না, সিম নিবন্ধনে জালিয়াতি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সিম নিবন্ধনে ব্যাপক জালিয়াতির তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। মোবাইল গ্রাহকরা এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) জমা দিয়ে যে সিম ব্যবহার করছেন, তা যাচাই-বাছাই করছে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্প। গত এক সপ্তাহে ৫৭ লাখ মোবাইল নম্বর যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ গ্রাহকের তথ্যই ভুয়া। এমনকি, এক জাতীয় পরিচয়পত্রেই সাত হাজারের বেশি সিম বিক্রি করা হয়েছে।

chardike-ad

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ সেম্টেম্বর) পর্যন্ত অপারেটররা ২৭ লাখের বেশি সিমের তথ্য পাঠিয়েছে এনআইডি প্রকল্পে; যার মধ্যে গ্রামীণফোন পাঠিয়েছিল দুই লাখ ৭৫ হাজার; বাংলালিংক আড়াই লাখ; রবি এক লাখ ১১ হাজার। এছাড়া দেশের ছোট অপারেটর টেলিটক পাঠিয়েছিল ১৫ লাখ ৬০ হাজারের সিমের তথ্য। এর মধ্যে একটি এনআইডি নম্বর দিয়ে ৬ অপারেটরের ৭ হাজার সিম ইস্যু করা হয়েছে। আরও ৫০টি ভুয়া এনআইডি নম্বর দিয়ে ব্যবহার হচ্ছে কমপক্ষে ১ লাখ সিম।

সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ৫০০ এনআইডি নম্বর দিয়ে অগনিত সিম ইস্যু করা হয়েছে। এমনকি মহিলার নামের এনআইডি দিয়ে সিম বিক্রি হয়েছে পুরুষের নামে। সরকারি কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে আপাতত কিছু বলছেন না। অবশ্য তারা জানিয়েছেন, একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিমের কাগজপত্র ঠিক নেই।

তবে সিম নিবন্ধনে বড় ধরনের গলদের কথা স্বীকার করেছেন মোবাইল অপারেটররা। তারা জানিয়েছেন, সিম নিবন্ধনে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী তারা। তবে এতে করে সম্ভাবনাময় এ খাতের যেন ক্ষতি না হয়।

অন্যদিকে, নীতি নির্ধারকরা বলছেন, অপরাধের অন্যতম কারণ মোবাইলের সিম। তাই সব সিমের তথ্য যাচাই করে এ খাতকে একটি শৃংখালার মধ্যে আনা হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মোবাইলে হুমকি ধমকি এবং মন্ত্রী, এমপি, সচিবদের সিম নম্বরের ক্লোনিং ঘটনার পর সব সিম পুনঃনিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এনআইডি দিয়ে কেনা সিমের তথ্য যাচাই বাছাই চলছে এখন।

সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন