Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মসজিদ মাদ্রাসা ও বাসায় সিসিটিভি স্থাপনের নির্দেশনা

cc-tvরাজধানীর মসজিদ মাদ্রাসা ও বাসা-বাড়িতে সিসিটিভি (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিভিন্ন মসজিদের পরিচালনা কমিটির শীর্ষ নেতাদের ডেকে নিজ নিজ খরচে দ্রুত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও মসজিদে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে আসা তাবলিগ জামাতসহ অন্যান্যদের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত, নাম, ঠিকানা ও পেশা ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করে নিয়মিত সরবরাহ করার নির্দেশনা প্রদান করেছে ডিএমপি। রাজধানীর একাধিক মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির শীর্ষ নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ সব তথ্য জানান।

chardike-ad

জানা গেছে, মসজিদ মাদ্রাসায় নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লার বাসিন্দাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। কঠোর নজরদারি ও যে কোনো ধরনের অপরাধ দমনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আয়তন ভেদে প্রতিটি থানা এলাকাকে নির্দিষ্ট কয়েকটা বিটে (এলাকা) ভাগ করে প্রতিটি বিটের দায়িত্বে তিন থেকে পাঁচ সদস্যের এসআই ও এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। ওই পুলিশ সদস্যরা বিটের আওতাধীন বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও বাড়ির মালিকদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য ফরম পৌঁছে দিচ্ছেন। বিভিন্ন জোনের ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা সার্বিক বিষয়টি মনিটরিং করছেন। সার্বিক ব্যাপারে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে।

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত একটি মসজিদ কমিটির সভাপতি পুলিশের এ নির্দেশনাকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটছে। তাই সন্ত্রাসীরা যে কোনো সময় মসজিদগুলোতেও অতর্কিত হামলা চালাতে পারে।

এ কারণে তারা শিগগিরই তাদের মসজিদে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করবেন বলে জানান। তবে এ খবর শোনার পর থেকে মুসল্লিদের মধ্যে কিছুটা ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

নিউমার্কেটের আইয়ুব আলী কলোনির একজন বাড়ির মালিক জানান, পুলিশ প্রশাসন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি তালিকা করা উচিত। কিছুদিন আগে র‌্যাব তালিকা সংগ্রহের তাগাদা দিলে তারা তালিকা করে জমা দেন। এখন আবার পুলিশ তালিকা চাইছে। তবে অপরাধ দমনে পুলিশের এ উদ্যোগের ফলে অপরাধী শনাক্তকরণ সহজতর হবে বলেও জানান তিনি।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ দমন সম্ভব নয়। তাই জনগণকে সম্পৃক্ত করে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়নে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে পুলিশের এক ধরনের সেতুবন্ধন তৈরি করা হয়েছে।

বর্তমানে বিট পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকার বাসা-বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিট এলাকায় কোনো অপরাধ ঘটলে নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবেন এই মর্মে আদেশের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহে তৎপর হয়েছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

সম্প্রতি সার্বিক বিষয়ে কথা হয় নিউমার্কেট থানা এলাকার বিট পুলিশিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক আমির সোহেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, অপরাধ দমনে তারা মসজিদ মাদ্রাসা ও বাসা-বাড়ির তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রথমদিকে অনেকেই ভয়ে তথ্য-উপাত্ত দিতে ভয় করলেও এর মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত সহজ করা সম্ভব হবে বুঝতে পেরে তারা পুলিশকে সহযোগিতা করছেন।