Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঢাকার বিদায়, ফাইনালের পথে বরিশাল

borisal-bullsলক্ষ্য ১৩৬ রান। কিন্তু শুরু থেকেই বিপথে ঢাকা ডায়নামাইটস। মাঝে ওয়ালার-মোসাদ্দেক আশা জাগালেও হয়নি। শেষ পর্যন্ত হারই নিয়তি। শনিবার বিপিএলের এলিমিনেটর পর্বের ম্যাচে বরিশাল বুলসের কাছে ১৮ রানে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে কুমার সাঙ্গাকারার ঢাকা ডায়নামাইটস। অন্যদিকে এই জয়ে ফাইনালে পথে এক পা দিয়ে রাখল গেইলের বরিশাল বুলস। আগামীকাল রোববার মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে বরিশাল। এই ম্যাচে জয়ী দল আগামী ১৫ ডিসেম্বর ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে বরিশাল বুলস। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ঢাকার দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যানকে দেখেই সবার চক্ষু চড়কগাছ। সবার নিচে যিনি নামেন সেই পেসার আবুল হাসান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। সঙ্গে ফরহাদ রেজা। টিম ম্যানেজম্যান্টের এমন সিদ্ধান্তকে সার্থক করতে পারেননি আবুল। ১৪ বলে ১১ রান করে কুপারের বলে গেইলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলীয় রান তখন মাত্র ১৩।

chardike-ad

ওয়ানডাউনে নেমে চরম ব্যর্থ পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজও। পাঁচ বল খেলে মাত্র ১ রান করে তিনি শিকার হন কুপারের। অধিনায়ক সাঙ্গাকারাকে সঙ্গে নিয়ে ভালোই এগুচ্ছিলেন ওপেনার ফরহাদ রেজা। তবে বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি এই জুটি। ২০ বলে ২০ রান করে তিনি ক্যাচ দেন আল আমিনের বলে রনি তালুকদারের হাতে। ৪৪ রানে নেই তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ডায়নামাইটসের ইনিংস থামে ১১৭ রানে।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বরিশাল বুলস। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করে নাসিরের বলে ওয়ালারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রানের গতি দ্রুতই বাড়াতে থাকেন গেইল ও সাব্বির। ঝড় তোলার আভাস দিয়েছিলেন গেইল। কিন্তু হঠাতই ছন্দপতন। তাকে ফিরিয়ে ঢাকা শিবিরে স্বস্তি এনে দেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ১৯ বলে ৩১ রান করা গেইলকে সরাসরি বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। তবে ছোট ইনিংসেও গেইলের ছিল চারটি চার ও দুটি ছক্কার মার। বরিশালের দলীয় রান তখন ৭৪।

গেইল বিদায় নিলেও ব্যাট হাতে বরিশালের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ রান করেছেন সাব্বির রহমান। ৩৯ বলে ৪১ রান করে তিনি নাবিল আহমেদের শিকার। দারুণ এই ইনিংসে সাব্বির তিনটি করে হাঁকিয়েছেন ছক্কা ও চার। সাব্বিরের বিদায়ের পর ইনিংসের মেরামতের বাকি কাজটি করেন বরিশাল অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে শেষ পর্যন্ত রিয়াদকেও ফিরেছেন কাটার বিস্ময় মুস্তাফিজ। ৩৩ বলে ৩৭ রান করে আউট হন রিয়াদ।

এর আগে মোশাররফ হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১০ রান করা মেহেদী মারুফ। এমরিট ১০ বলে ৯ ও কুপার শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার হয়ে মুস্তাফিজ দুটি, নাসির, নাবিল ও মোশাররফ নেন একটি করে উইকেট।