Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফ্রান্সের মসজিদে হামলা

France-Mosqueফ্রান্সের কোরসিকা দ্বীপে একটি মসজিদে ভাংচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাতে চালোনো এই হামলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরীফের অবমাননারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় দুজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী ও একজন পুলিশ আহত হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কোরসিকা দ্বীপের অ্যাজাকসিয়ো এলাকার একটি মসজিদে কয়েকজন যুবক এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

chardike-ad

পুলিশ জানিয়েছে, বড়দিনের উৎসব উপলক্ষে ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রায় ১৫০ লোক পুলিশের সদর দপ্তরের সামনে জড়ো হয়ে নিরাপত্তা রক্ষায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু সেখান থেকে কয়েকজন হামলাস্থলে গিয়ে চিৎকার করতে থাকেন, ‘আরবরা চলে যাও। এটা আমাদের দেশ’। এর কিছুক্ষণ পরই হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশের আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফ্রাঁসোয়া লালান বলেন, দুর্বৃত্তরা কাচের দরজা ভেঙে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে। সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে তারা। পবিত্র কোরআন পোড়ানোর চেষ্টাও করেছিল কয়েকজন। প্রায় ৫০টি পবিত্র কোরআন রাস্তায় ছুড়ে ফেলে ও পোড়ানোর চেষ্টা করে তারা। এসময় পবিত্র কোরআনের কয়েকটি পাতা পুড়ে যায়। থামাতে গেলে তাদের হামলায় এক পুলিশ ও দুজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী আহত হন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ গতকাল রাত থেকে ওই এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। ওই এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, এটি খুব অপ্রত্যাশিত ঘটনা। হামলায় আহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

ফ্রান্সের প্যারিসে ১৩ নভেম্বর ভয়াবহ হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর বড়দিনের উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।