Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়ায় অস্ত্র পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে কিউবা

সিউল, ১৮ জুলাই ২০১৩:

‘অঘোষিত সামরিক সরঞ্জাম’ বহনের অভিযোগে পানামায় আটক করা উত্তর কোরিয়ার জাহাজটি কিউবার কোনো একটি বন্দরে মাল বোঝাই করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে কিউবা। তবে কিউবান কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, জাহাজটিতে ১০ হাজার টন চিনি এবং ২৪০ টন ‘প্রতিরক্ষামূলক পুরনো অস্ত্রশস্ত্র’ ভরা হয়েছে।কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোভিয়েত আমলের অস্ত্রশস্ত্রগুলো মেরামত করার জন্য উত্তর কোরিয়ায় পাঠানো হচ্ছিল। এসব অস্ত্রাদির মধ্যে রয়েছে দু’টি বিমানবিধ্বংসী ব্যাটারি, জোড়া না দেয়া নয়টি রকেট এবং দু’টি মিগ-২৯ বিমান। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘এই এলাকায় কিউবা যে চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করেছে তার ভিত্তি হলো জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা।’গত সোমবার পানামার প্রেসিডেন্ট রিকার্ডো মার্টিনেলি জানান, কিউবা থেকে আসা উত্তর কোরিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ পানামায় আটক করা হয়।

chardike-ad

image_57210পানামার প্রেসিডেন্ট জানান, কর্তৃপক্ষ প্রথমে জাহাজটিতে মাদক রয়েছে এমন সন্দেহের বশে তল্লাশি চালায়। পরে জাহাজে থাকা চিনির কনটেইনারগুলোতে ‘সন্দেহভাজন’ অস্ত্রশস্ত্র খুঁজে পায়। মার্টিনেলি সোমবার এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘পানামা চ্যানেল দিয়ে যুদ্ধের জন্য কোনো রকম অঘোষিত অস্ত্র জাহাজযোগে পরিবহন করা যাবে না।’ তিনি আরো জানান, জাহাজটিকে থামানোর পর এটির ক্যাপ্টেন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। পানামা কর্তৃপক্ষ ওই জাহাজ থেকে মোট ৩৫ জনের মতো নাবিককে আটক করেছে।

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে দেশটি ছোট অস্ত্র ছাড়া কোনো ধরনের অস্ত্র আমদানি বা রপ্তানি করতে পারে না। এর ফলে সন্দেহভাজন অস্ত্র থাকার অভিযোগে গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়ার একাধিক জাহাজে তল্লাশি চালানো হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশটি তৃতীয়বারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালালে নিষেধাজ্ঞা আরো জোরদার করে জাতিসংঘ। এর মধ্যে আছে সন্দেহজনক জাহাজে তল্লাশি চালানোর বিষয়ে রাষ্ট্রগুলোকে আরও বেশি কর্তৃত্ব দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া। খবরঃ ইত্তেফাক