অনলাইন প্রতিবেদক, ১৯ জুলাই ২০১৩:
পানামায় আটক উত্তর কোরিয়ার জাহাজ ও জাহাজের কর্মীদের অতিদ্রুত ছেড়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।জাহাজ আটকের ঘটনার পর এই প্রথম মুখ খুলল উত্তর কোরিয়া। এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটক জাহাজে কিউবার পুরোনো অস্ত্রশস্ত্র ছিল। অস্ত্রগুলো মেরামতের জন্য উত্তর কোরিয়ায় নেয়া হচ্ছিল। মেরামত শেষে চুক্তি অনুয়ায়ী তা কিউবার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হতো বলেও জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে, আটক উত্তর কোরিয়ার জাহাজে পাওয়া অস্ত্রশস্ত্রগুলো নিজেদের বলে দাবি করেছে কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পানামা গত সপ্তাহে কিউবা থেকে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার পথে এ জাহাজকে আটক করে। মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পানামা খালের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনী জাহাজটির ওপর নজর রাখছিল।
জাহাজটিতে তল্লাশি চালিয়ে গোপন সামরিক রসদের খোঁজ পায়। এসময় চিনির কন্টেইনারে লুকানো অবস্থায় অস্ত্রগুলোর সন্ধান পায় কিউবা। আটক জাহাজটি ২৪০ টন পুরোনো অস্ত্রশস্ত্র বহন করছিল। সাবেক সোভিয়েত আমলে তৈরি এ সব অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে দুইটি বিমান বিধ্বংসী ব্যাটারি, খোলা অবস্থায় নয়টি রকেট, দু’টি মিগ-২১ জঙ্গি বিমান ও ১৫টি মিগের ইঞ্জিন ও ১০ হাজার টন চিনি ছিল। তবে, কেন অস্ত্রগুলো চিনির কন্টেইনারে লুকানো ছিল তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে, জাহাজটির ৩৫ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ এনেছে পানামা। একইসঙ্গে পানামা এ ঘটনায় জাতিসংঘের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পরমানু অস্ত্র ইস্যুতে দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতিসংঘ। সূত্র: নতুনবার্তা, বিবিসি