Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের সেরা একাদশ

bpl-2016-live-scores

বিপিএলের এবারের আসরে সবচেয়ে ভালো দিক হলো দেশি ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স।

chardike-ad

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গ্রুপ পর্বের সবক’টি ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে শেষ চারের লড়াইয়ে কোন কোনো দল লড়বে।

এবারের আসরে সবচেয়ে ভালো দিক হলো দেশি ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স। পারফরমেন্সের ভিত্তিতে এবারের আসরে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে তাই সেরা একাদশ গঠন করলাম

১. তামিম ইকবাল (চিটাগং ভাইকিংস)

বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনার টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ৪২.৫০ ব্যাটিং গড় এবং পাঁচ টি হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৪২৫ রান করে আছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সবার ওপরে।

২. মেহেদি মারুফ (ঢাকা ডাইনামাইটস):

এই ওপেনার বিপিএলের চতুর্থ আসরের সেরা আবিস্কার। প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন, আম্পায়ারদের কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পরেও ১২ ম্যাচে ৩০.১৮ ব্যাটিং গড় এবং ১৩৮.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৩৩২ রান করেছে। এখন পর্যন্ত এই আসরে সর্বোচ্চ ১৯ টি ছয় হাঁকিয়েছে মারুফ।

৩. মোহাম্মদ মিঠুন (রংপুর রাইডার্স)

টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান ছিলেন মিঠুন। শেষ কয়েকটা ম্যাচে সেভাবে রান করতে না পারলেও ১২ ম্যাচে ৪৫.৭১ ব্যাটিং গড়ে ৩২০ রান করেছে।

৪. মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (খুলনা টাইটান্স-অধিনায়ক)

ব্যাটে, বলে, ফিল্ডিংয়ে ও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া – সবদিকেই সফল রিয়াদ। রাজশাহী এবং চিটাগাংয়ের বিপক্ষে শেষ ওভারে অবিশ্বাস্য বোলিং জয় এনে দিয়েছিলো রিয়াদ। এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ৩৬.৯০ ব্যাটিং গড়ে ৩৬৯ রান এবং ৯ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

৫. মুশফিকুর রহিম (বরিশাল বুলস-উইকেটরক্ষক)

ব্যাট হাতে বিপিএলে বরাবরের মতো এবারও সফল মুশি। ১২ ম্যাচে ৩৭.৮৮ ব্যাটিং গড়ে করেছে ৩৪১ রান।

৬. সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডাইনামাইটস)

সাকিবীয় ছন্দে খেলতে না পারলেও ব্যাটে বলে উল্লেখযোগ্য কিছু সাফল্য পেয়েছে। এবারের বিপিএলে টানা দুটি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। ব্যাট হাতে ১১ ইনিংসে ২১.৭৭ ব্যাটিং গড়ে ১৯৬ রান করার পাশাপাশি ৬.৭৪ ইকোনমিক রেটে পেয়েছেন ১০ উইকেট।

৭. মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (ঢাকা ডাইনামাইটস)

ঢাকার হয়ে এই আসরে ১১ ইনিংসে ৪১.৫৭ ব্যাটিং গড়ে ২৫৭ রান করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন সেনসেশন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

৮. মাশরাফি বিন মর্তুজা (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)

শেষ কয়েক ম্যাচে ইনজুরি নিয়ে বোলিং করেও টুর্নামেন্টে ১২ ম্যাচে ৬.৪৩ ইকোনমিক রেটে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফি।

৯. শফিউল ইসলাম (খুলনা টাইটান্স)

আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীর চেয়ে এক ইনিংস কম বল করে সমানসংখ্যক ১৮ টি উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হলেন এই পেসার।

১০. তাসকিন আহমেদ (চিটাগং ভাইকিংস)

১০. তাসকিন আহমেদ (চিটাগং ভাইকিংস)

চিটাগংয়ের হয়ে ১০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে ইনিংসে পাঁচ উইকেট সহ ১৫ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার।

১১. মোহাম্মদ শহীদ (ঢাকা ডাইনামাইটস)

মাত্র ১০.৮ স্ট্রাক রেটে ১৫ উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই ইনজুরির কবলে পড়েন এই পেসার। ফলে, শেষ হয়ে যায় তার বিপিএল।