ckশততম টেস্টে ভালো কিছু করারই ইঙ্গিত দিচ্ছে টাইগাররা। চতুর্থ দিন শেষে অন্তত এটা বলা যায়, এই টেস্টে চালকের আসনে এখন বাংলাদেশ।

শনিবার পি সারা ওভালে দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান করেছে শ্রীলংকা। সুরঙ্গা লাকমাল ১৬ এবং দিলরুয়ান পেরেরা ২৬ রানে অপরাজিত আছেন।

chardike-ad
 শ্রীলংকার হাতে রয়েছে আরো দুই উইকেট। ১৩৯ রানে এগিয়ে থেকে রোববার পঞ্চম দিনে ব্যাট হাতে নামবে স্বাগতিকরা।

প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের বিপক্ষে লিড নিয়ে চতুর্থ দিন ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা।শুরুর হোঁচট কাটিয়ে লড়তে থাকা লঙ্কানদের ব্যাটিং জুটিতে ভাঙন ধরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব।

চতুর্থ দিনের শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার উপল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে প্যাভিলিওনে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৬ রান করেন থারাঙ্গা। দিনের প্রথম সেশন শেষে ৪৩ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।

বিরতির পর ফিরে মোস্তাফিজের শিকারে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় কাটার মাস্টারের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন মেন্ডিস। ৯১ বলে মেন্ডিসের সাজানো ইনিংসের শেষ হয় দলীয় ১৪৩ রানের মাথায়। মেন্ডিস-করুনারত্নে জুটিতে আরও ৮৬ রান যোগ করে লঙ্কানরা। এর পর লঙ্কান শিবিরে আবারো আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। মুশফিকের হাতে জমা পড়ে চান্দিমালের উইকেট। ফেরার আগে চান্দিমাল করেন মাত্র ৫ রান। দলীয় ১৬৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় লঙ্কানরা।

দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় উইকেট শিকারে যোগ দেন সাকিব। ফিরিয়ে দেন গুনারত্নেকে। মাত্র ৭ রান করে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। চতুর্থ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এরপর আবারো আক্রমণে এসে নিজের তৃতীয় ও দলের হয়ে পঞ্চম উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করে ফিরিয়ে দেন ডি সিলভাকে (০)। দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় টপঅর্ডারের পাঁচ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

এরপর সাকিব আবারো লঙ্কা শিবিরে আঘাত হানেন। ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটিয়ে সাকিব ফেরান নিরোশান দিকওয়েলাকে। মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ৫ রান। দলীয় ১৯০ রানের মাথায় ছয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন।

এর আগে তৃতীয় দিন শেষে লঙ্কানরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার ব্যাটিং করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করেছিল। সমান ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও উপল থারাঙ্গা। তবে ৭৫ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।

রঙ্গনা হেরাথরা নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করেছিল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৮ করেন দিনেশ চান্দিমাল। তবে অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি। মেহেদি হাসান মিরাজ নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, শুভাষিশ রায় ও সাকিব আল হাসান।

শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের জবাবে সফরকারী বাংলাদেশ সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরিতে (১১৬) ৪৬৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। যেখানে ১২৯ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর এই প্রথম এক ইনিংসে বাংলাদেশের সাত ব্যাটসম্যান ৩০ রানের বেশি করেন। হাফসেঞ্চুরির দেখা পান সৌম্য সরকার, মুশফিক ও মোসাদ্দেক হোসেন।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে চার উইকেট করে দখল করেন হেরাথ ও লাকসান সানদাকান। আর বাকি দুটি উইকেট যায় সুরাঙ্গা লাকমালের শিকারে।