রাজকীয় ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে একমাত্র ছেলে আল আহম্মেদ রাফসানের বিয়ে দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা খাতুন।
বিয়ে উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার ভাড়া করে আনা হয়। নিজ বাড়ি থেকে বর রাফসান ব্যান্ডপার্টি নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে ঈশ্বরদী আখ ক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মাঠে যান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে কনের বাড়িতে যান।
অবশ্য কনে রুবায়েত নিশাতের বাড়ি মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাঘইল গ্রামে। তিনি মৃত শওকত আলীর মেয়ে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাফসান বউ নিয়ে আবারও হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরে আসেন।
এদিকে শুক্রবার ঈশ্বরদী শহর থেকে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দূরে পাবনার ঐতিহ্যবাহী ‘রত্নদ্বীপ’ রিসোর্টে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। এখানে পাঁচ শতাধিক মানুষের আপ্যায়নের পাশাপাশি মনোমুগ্ধকর নাচ-গানের ব্যবস্থা রাখা হয়। বরের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, আপ্যায়নের জন্য জনপ্রতি খরচ হয়েছে এক হাজার টাকা।
আহম্মেদ আলীর ছেলে বর রাফসান বর্তমানে চীনে অ্যারোনোটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে লেখাপড়া করছেন। আর নববধূ নিশাত ঢাকায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে সিএসইতে পড়ছেন।
ঈশ্বরদীতে হেলিকপ্টারে করে এটাই প্রথম বিয়ে হওয়ায় বিপুল উৎসুক মানুষ ভিড় করেন এবং এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।