Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিঙ্গাপুরে ভবনের আগুন নেভালেন তিন বাংলাদেশি

singgapurসিঙ্গাপুর সময় দুপুর দেড়টা। জুরং ওয়েস্ট এলাকায় এক ভবনে লেগেছে আগুন। স্কুল ফেরত ছেলেমেয়েদের চিৎকার-চেচামেচি। আকাশ ছেয়ে গেছে ঘন কালো ধোঁয়ায়। তখনই এগিয়ে গেলেন তিন বাংলাদেশী; নেভালেন আগুন। শুক্রবার জুরং ওয়েস্ট এভিনিউ ১ এর ৪২নং রোডের ব্লক ৪৮৬-তে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ওই ভবনটির পাশেই কাজ করছিলেন তিন বাংলাদেশী।

শেখ জামাল (৩০) নামে একজন বাংলাদেশী প্রথমে আগুন লাগার ঘটনা দেখতে পান। তিনি দৌড়ে গিয়ে তার সুপারভাইজার সৌর্যিক সারথি দাসকে ঘটনা জানান। সৌর্যিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান তার সহকর্মী সাইট ফোরম্যান মাহবুবকে (৩২) সাথে নিয়ে। আগুন লাগা ওই ভবনটিতে অবস্থানরতরা একের পর এক নিচে নেমে আসছিল তড়িঘড়ি করে। কিন্তু আশেপাশের অন্য কেউ এগিয়ে আসছিল না। সবাই যার যার মোবাইলে ভিডিও করা নিয়ে ব্যস্ত! পরিস্থিতি দেখে সৌর্যিক অনেকটাই ঘাবড়ে গেলেন। কারও বিপদ দেখলে এগিয়ে যাওয়া তার অভ্যাস!

chardike-ad

দূর থেকে দাঁড়িয়ে তিনি বুঝতে পারলেন না ঠিক কোন তলায় আগুন লেগেছে। আরও সামনে এগিয়ে গিয়ে বুঝতে পারলেন দ্বিতীয় তলার ০২-২৩ নাম্বার হাউজের করিডোরে আগুন লেগেছে। আশেপাশে কোন বালতি দেখতে পেলেন না তিন বাংলাদেশী। হঠাৎ পাশের ব্লকে একটি দোকানের সামনে থেকে রীতিমত জোর করে দুটি বালতি কেড়ে নেন। বিন কম্পাউন্ড থেকে পানি ভরে নিয়ে যান ঘটনাস্থলে। কালো ধোঁয়ার কারণে কেউ কিছু দেখছিল না ঠিক কোন স্থান থেকে আগুনটা আসছে। সে এক গা শিউরে উঠা মুহূর্ত।

সৌর্যিক আন্দাজ করে ধোঁয়ার মধ্যে পানি ঢালতে শুরু করেন। দুই বালতি পানি যথেষ্ট ছিল না। তখন মাহবুব হাফিজ এবং শেখ জামাল এগিয়ে গেল পানি হাতে। অবশেষে তিনজনের মিলিত চেষ্টায় দশ মিনিটের মধ্যে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসও এসে যায়। কিন্তু ততক্ষণে আগুন নেভানো শেষ। তিন বাংলাদেশীর কাছ থেকে আগুন নেভানোর পুরো বিবরণ শোনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

তিন বাংলাদেশী তরুণকে ধন্যবাদ দিয়ে এসসিডিএফ ফায়ার কর্মীদের ক্যাপ্টেন জানান, সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে তারা যথাসময়ে আগুন নেভাতে না পারলে ওই ভবনটির বিশাল ক্ষতি হয়ে যেত। আগুন নেভানোর জন্য তাদের পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানান এস সি ডি এফ ফায়ার কর্মীদের ক্যাপ্টেন।