দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, সবচেয়ে বড় ও ষষ্ঠ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে যারা অবদান রেখেছেন, তারাও উৎসবে অংশ নেন। এই উৎসবের মূলে রয়েছে সবচেয়ে বড় পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে বিজ্ঞানীদের সফলতাকে উৎযাপন করা।
উত্তর কোরিয়ার ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নতুন করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা। কিন্তু তেমন কোনো উসকানিমূলক কাজ করেনি তারা। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কিছু অনুষ্ঠানাদি হয়েছে মাত্র।
গত সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ কোরিয়া হুঁশিয়ার করে আসছিল, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার জবাবে উত্তর কোরিয়া আবার আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কড়া হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধেও প্রতিক্রিয়া দেখাতে চাইছিল তারা।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে শুক্রবার ওয়াশিংটন বলেছে সোমবার বৈঠক ডাকার জন্য। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার খসড়ায় ভোট দেওয়া হবে এ দিন।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তাদের একমাত্র মিত্র চীনও যখন নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে, তখনো উত্তর কোরিয়া থামছে না। এ অবস্থায় নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করছে রাশিয়া।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পিপলস থিয়েটারে আয়োজিত উৎসবে দুজন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীর সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন কিম জং-উন। এর মধ্যে একজন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ইনস্টিটিউটের প্রধান রি হং সপ। অন্যজন হলেন গোলাবারুদ শিল্প বিভাগের উপ-পরিচালক হং সাং মু। রি এবং হং দেশটির পরমাণু অস্ত্রের বিকাশে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন।