Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

তসলিমা বোন হতে পারলে রোহিঙ্গারা ভাই হবে না কেন?

indiaরোহিঙ্গা শরণার্থী বিতাড়ন ইস্যুতে ভারতের ‘মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন’ প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘তসলিমা আপনার বোন হতে পারলে রোহিঙ্গারা ভাই হবে না কেন?’ গতকাল (শুক্রবার) ভারতের হায়দরাবাদে এক সমাবেশে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

ভারতে আশ্রয় নেয়া ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের কেন্দ্রীয় সরকার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় ওয়াইসি বাংলাদেশ থেকে ভারতে বাস করা ইসলামবিদ্বেষী লেখিকা তসলিমা নাসরিন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

chardike-ad

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তসলিমা যদি ভারতে বাস করতে পারেন তাহলে রোহিঙ্গারা কী ভারতে থাকতে পারেন না?

তামিলনাড়ুতে বসবাসকারী শ্রীলঙ্কার শরণার্থীদের প্রসঙ্গে ওয়াইসি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ’ ছড়ানোর অভিযোগ থাকলেও তাদের ভারতে থাকতে দেয়া হয়। দলাই লামা তিব্বত থেকে পালিয়ে হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় আশ্রয় পেয়েছেন। বাংলাদেশের চাকমা অঞ্চলের শরণার্থীরা অরুণাচলে আশ্রয় পেয়েছেন। তাহলে রোহিঙ্গারা আশ্রয় পাবেন না কেন?

indiaতিনি বলেন, ভারত জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদ চায় কিন্তু এখানে এক সুপার পাওয়ার হিসেবে ভারতের এই পদক্ষেপ হবে?

ওয়াইসি কেন্দ্রীয় সরকারকে টার্গেট করে বলেন, ‘আপনারা কোন আইনের ভিত্তিতে তাদের ফেরত পাঠাবেন? এসব রোহিঙ্গা মুসলিমের কাছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের পরিচয়পত্র রয়েছে। যারা সর্বস্ব হারিয়েছে তাদের ফেরত পাঠানো কী ধরণের মানবতা?’

শ্রীলংকার তামিল শরণার্থীদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওয়াইসি বলেন, ‘এসব তামিলদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী কাজকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ ছিল কিন্তু তাদের কী ভারত সরকার ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে? এসব শরণার্থী আজও ভারতে বাস করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি ভারত সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তাদের শিশুদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের সুযোগ দেবে। কারণ, আমাদের সংবিধানে সমতার অধিকার শুধু দেশবাসীকেই দেয়া হয়নি, তা শরণার্থীদের জন্যও।’

মিয়ানমার থেকে চরম জুলুম-নির্যাতন ও গণহত্যার শিকার হওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমরা সেখান থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে ওই সংখ্যা ৪০ হাজার হবে। কিন্তু সরকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় তাদের চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছে।