Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিমানবন্দর থেকেই ফেরত, অনিশ্চয়তায় রুবেলের দক্ষিণ আফ্রিকা যাত্রা!

rubel-hossainদুই দফায় ইতিমধ্যে দলের সকল ক্রিকেটারই পৌঁছে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। এমনকি সেখানে পৌঁছে অনুশীলনও করেছেন মুশফিকুর রহিম-তামিম ইকবালরা। কিন্তু এখনও ঢাকাই ছাড়তে পারেননি স্কোয়াডে থাকা জাতীয় দলের তারকা পেসার রুবেল হোসেন। এমনকি ডানহাতি এই পেসার দলের সঙ্গে কবে যোগ দেবেন তাও জানেন না সফরের ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু!

গত শনিবার মুশফিকুর রহিম-মেহেদী হাসান মিরাজ-মুস্তাফিজুর রহমানদের সঙ্গে রুবেলও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন ঢাকা ত্যাগের উদ্দেশে। কিন্তু দলের সবাই ঢাকা ছাড়লেও বিমানবন্দর থেকেই ফিরে আসতে হয় এই পেসারকে। এ প্রসঙ্গে নিশ্চিত কিছু জানেন না ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও। তার ভাষ্যমতে, ‘রুবেলের কী যেন একটা সমস্যা হয়েছিল।’

chardike-ad

সমস্যাটা বড় কিছুই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানালেন, এখনও ছাড়পত্র পাননি রুবেল। এরপর প্রশ্ন ওঠে দলের বাকিরা পেলে রুবেল কেন পাবে না? এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘‘কোনো কোনো দেশের নতুন নিয়মানুযায়ী এখন চূড়ান্ত গন্তব্য থেকে ‘ওকে টু বোর্ড’ ছাড়পত্রের দরকার হয় যাত্রীদের। বোর্ডিং পাস দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসও সেই ছাড়পত্রটি এনে থাকে। যেকোনো কারণেই হোক অন্যদের ছাড়পত্র এলেও আসেনি রুবেলেরটি।’’

rubel-mustafiz-miraz
বিমানবন্দরে মুস্তাফিজুর রহমান-মেহেদী হাসান মিরাজ-সৌম্য সরকারদের সঙ্গে রুবেল হোসেন।

এমিরেটসের ফ্লাইটে অন্যরা দুবাই হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে গেলেও বিমানবন্দর থেকে রুবেলের এই ফেরা নিয়েও সৃষ্টি হয় নানা গুঞ্জনের। এমনিতেই বৈধ এবং অবৈধ উপায়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচুর বাংলাদেশির যাতায়াত রয়েছে। এমনকি তাদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নজিরও কম নয়। ধারণা করা হচ্ছে, একই নামের কোনো বাংলাদেশি দক্ষিণ আফ্রিকার অভিবাসন বিভাগের কালো তালিকাভুক্ত হয়ে থাকতে পারেন। যার ভুক্তভোগী হতে হয়েছে ক্রিকেটার রুবেলকে। এ রকম কিছু ঘটেছে বলে মনে করেন বিসিবি প্রধান নির্বাহীও, ‘এ রকম কিছুই হবে। না হলে এত জটিলতা কেন হবে? তা ছাড়া এই নামটি তো বহুল প্রচলিতও।’

অবশ্য এই ঘটনার পর দ্রুতই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিসিবি। কিন্তু শনি ও রোববার সেখানে সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। বিসিবির আশা দ্রুতই তা পাওয়া যাবে এবং রুবেলও শিগগিরই দলের সঙ্গে গিয়ে যোগ দেবেন। যদিও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ঠিক নিশ্চিত নন যে, কবে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো যাবে রুবেলকে? তার ভাষ্যমতে, ‘আমরা ওর ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছি। আসামাত্রই আমরা ওকে বিমানে তুলে দেব।’

এদিকে রুবেলকে ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে মুশফিকুর রহিমদের। গতকাল পুরোদমে অনুশীলন হয়েছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বেনোনিতে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রণমূলক একাদশের সঙ্গে তিনদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারী বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের পর ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। ১৫, ১৮ ও ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ওয়ানডে। এরপর ২৬ ও ২৯ অক্টোবর দুটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে ৪৩ দিনের সফর।