Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রোহিঙ্গাদের পাল্টে যাওয়া জীবন

পাহাড়-নদী ঘেরা সবুজ বনের মাঝে ছোট্ট ছোট্ট কুঁড়েঘরে ছিল তাঁদের বসবাস। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙত। সূর্যের আলো ফোটার পর কৃষকেরা চলে যেতেন বাড়ির কাছেই ধানখেতে। কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরা। আনন্দ-বেদনায়, সুখে-দুঃখে মিলেমিশে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামবাসীর বেশ ভালোয় কাটছিল জীবনের দিনগুলো।

হঠাৎ গত মাসের ২৫ তারিখ মিয়ানমার সীমান্তের তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে তাদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। পাল্টে যেতে থাকে তাঁদের জীবন। যে ঘর যে গ্রাম রোহিঙ্গাদের পদচারণে মুখর থাকত, সেখানে তখন নিরাপত্তা বাহিনী আগুন দিতে থাকে। তারা নির্বিচারে নির্যাতন, ধর্ষণ, নিপীড়ন চালায়। প্রাণ বাঁচানোর জন্য সেই পাহাড়, জঙ্গল আর নদী পেরিয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে চলে আসে বাংলাদেশে। আতঙ্কিত সেসব রোহিঙ্গার জীবনের ছবিগুলো সম্প্রতি তোলা—

chardike-ad
rohinga
নব্বই বছর বয়সী রোহিঙ্গা নারী ছেলের কাঁধে চড়ে আসেন বাংলাদেশে। ছবিটি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকা থেকে তোলা।
rohinga
সম্পর্কে বড় বোন। কিন্তু তারই বা বয়স কত। কিন্তু জীবনের কঠিন বাস্তবতায় ছোট বোনকে আগলে রাখাই এখন যেন তার বড় দায়িত্ব।
rohinga
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত এক রোহিঙ্গা নারী। কিন্তু ক্লান্তির চেয়ে হতাশাই তাঁকে গ্রাস করেছে বেশি। ছবিটি কুতুপালং আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তোলা।
rohinga
জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে এই বৃদ্ধা। নিজের দেশ ছেড়ে আরেক দেশে আশ্রয় নিতে হবে ভাবেননি কখনো।
rohinga
যেখানে থাকার ঠাঁই হয়েছিল, সে জায়গায় তখন বৃষ্টির পানি। ফলে কোথায় যাবে, কী করবে কিছুই জানা নেই তার। ছবিটি উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তোলা।
rohinga
মা হাঁটতে পারেন না। তাই ছেলে মায়ের দায়িত্ব তুলে নিলেন নিজের কাঁধে। লুঙ্গি দিয়ে ঝোলা বানিয়ে সেখানে মাকে বসিয়ে মিয়ানমারের মংডু থেকে আসেন বাংলাদেশে। ছবিটি উখিয়ার থ্যাংখালী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তোলা।
মংডুতে নির্যাতনে প্রাণ গেছে শ্বশুর ও দেবরের। এরপর সন্তানদের ও স্বামীকে নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন এই নারী। নেমেছেন নতুন জীবনসংগ্রামে। ছবিটি উখিয়ার পালংখালী গ্রাম থেকে তোলা।