Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভাগ্যে জুটেছে পরকীয়ার অপবাদ : বাঁধন

badhanলাক্স তারকা আজমেরী হক বাঁধন। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই ব্যবসায়ী মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পারিবারিকভাবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি।

বাঙালি নারীসত্তা যে বাঁধনের আপাদমস্তকে তা তিনি প্রমাণ করেন সংসারী হয়ে। সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। বাঙালি বধূর মতোই সংসারজীবনও দিব্যি কাটছিল তার। তাদের ঘর আলো করে আসে মেয়ে সায়রা। সুখের আলোতে যখন সংসার ভরে উঠেছে তখনই ভাঙনের করুণ সুর বেজে উঠে বাঁধনের সংসারে।

chardike-ad

গত পাঁচ বছর ধরে মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে রয়েছেন বাঁধন। তবে কিছুদিন আগে বাঁধন ও তার মেয়ের মালয়েশিয়া ভ্রমণের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হয় সেই ভ্রমণে তাদের সঙ্গে বাঁধনের স্বামীও ছিলেন। এরপর গুঞ্জন ওঠে, ফের জোড়া লাগছে এ অভিনেত্রীর দাম্পত্য জীবন। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়। তবে এ বিষয়ে তখন খোলামেলা কিছু বলেননি এ অভিনেত্রী।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বাঁধন বলেন, ‘আমি পুরোপুরি সংসারী একটা মেয়ে। সংসার করব বলেই বিয়ের পর অভিনয় ছেড়েছিলাম। অল্প কিছুদিনের মধ্যে সন্তানও ধারণ করি কিন্তু সংসার আমাকে গ্রহণ করেনি। ভাগ্যে জুটেছে পরকীয়ার অপবাদ। সমস্ত অপবাদ অবমাননা উপেক্ষা করে, আমি মেয়েকে তার বাবা আর মাকে একসঙ্গে কাছে পাওয়ার সুযোগ করে দিতে, ভাঙা ঘর জোড়া লাগাতে মাশরুরের সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলাম। আর ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিগুলো মালয়েশিয়ায় সায়রার বাবার তোলা।’

তা হলে আপনাদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা কোথায়? জবাবে বাঁধন বলেন, ‘মালয়েশিয়া থেকে ফেরার কিছুদিন পর জানতে পারি মাশরুর আরেকটি বিয়ে করেছে। তার বর্তমান স্ত্রী কানাডার নাগরিক। কিন্তু এই বিষয়ে মাশরুর এতদিন আমাকে কিছুই জানতে দেয়নি।’

এখন মাশরুর সিদ্দিকী মেয়ে সায়রাকে কানাডায় নিয়ে যেতে চান বলেও জানান বাঁধন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাশরুর তার বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে কানাডায় বসবাস করার পরিকল্পনা করেছে। সঙ্গে সায়রাকে নিয়ে যেতে চায়। মেয়ের জন্মের পর কোনো খোঁজ রাখেনি ও। এখন হঠাৎ মেয়েকে দেশ ছাড়া করতে চাইছে। এ জন্য আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। কারণ এ ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই। আমি পারিবারিক আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি এখন চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মেয়েকে আমার কাছে রাখতে চাই। তারপরের সিদ্ধান্ত মেয়ের।’