চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব ছাড়াই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্ক বৈঠক শেষ হয়েছে। বাংলাদেশে সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের এই উন্মুক্ত বিতর্ক শুরু হয়।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য না হলেও বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত আছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ আবাস তৈরিতে প্রস্তাব ও বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য দেন। সেই সাথে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর সামনে তুলে ধরে।
কিন্তু বিতর্কে অংশ নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্যদেশ চীন ও রাশিয়া। সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য দেশ দু’টি রাখাইনের আরসা সংগঠনকে দায়ী করে।
তবে আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ বেশিরভাগ সদস্য দেশ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে। তারা দেশ ছেড়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ারও দাবি জানান।
বিতর্কের শুরুতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা সমস্যার সর্বশেষ চিত্র তুলে ধরেন। তিনি অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উন্মুক্ত বিতর্কে মিয়ানমারও অংশ নেয়। দেশটি সাম্প্রতিক সময়ে নিজের অবস্থানে অটল থেকে জাতিগত নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মতো পূর্বনির্ধারিত আলোচ্যসূচিতে এসেছে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ। ১৩ সেপ্টেম্বরের পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো রোহিঙ্গা পরিস্থিতি আলোচনা হয় নিরাপত্তা পরিষদে।