বৃহস্পতিবার । ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক প্রবাস ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ৮:১৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

সৌদিতে স্বর্ণ খাতের প্রবাসী কর্মীদের কাছ থেকে জামানত আদায়


saudi-gold

স্বর্ণ খাতে প্রবাসী কর্মীদের থেকে জামানত আদায় করছে সৌদি সরকার। ছবি আরব নিউজ।

সৌদি আরবের স্বর্ণ ও অলংকার খাতে কর্মরত প্রবাসী কর্মীদের কাছ থেকে জামানত রাখছে দেশটির সরকার। রাজ্যের ৭টি প্রশাসনিক অঞ্চল স্বর্ণ ও অলংকার খাতে সরকারের স্থানীয়করণ কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয়করণকে উৎসাহিত করার জন্য দেশটির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ঘোষণা অনুসারে প্রবাসী কর্মীদের থেকে জামানত রাখার এই বড় পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়টির মুখপাত্র খালিদ আবা আল-খলিল গত সোমবার দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আরব নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

এই প্রশাসনিক রাজ্যগুলো হল কাসিম, তাবুক, নাজরান, বাহা, আসির, উত্তরের সীমান্ত, জাযান। রাজ্যের ১৩টি অঞ্চলের মধ্যে এ ৭টি অঞ্চল তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সৌদি নাগরিকদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বর্তমানে সৌদি আরব জুড়ে ৬ হাজার স্বর্ণ ও অলংকারের দোকানে প্রায় ৩৫ হাজার প্রবাসী কাজ করেন।

স্থানীয় অধিবাসীদের নিয়োগ দিতে ‘গাইডেড লোকালাইজেশন’ নামের আরেকটি সৌদিকরণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামী বছর। দেশটির শ্রম বাজারে সৌদি নাগরিকদের যোগদান বাড়ানোর জন্যই রাজ্যে স্থানীয়করণ কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। তবে কোনো কোনো চাকরিক্ষেত্রে গত বছর থেকে মন্ত্রণালয় সৌদিকরণ বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে। স্বর্ণখাতও তাদের মধ্যে একটি।

আবা আল খলিল বলেন, সরকারি এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানীয়করণে দেশটির শ্রম পুলিশ ৫৯৬০টি পরিদর্শন চালিয়েছে। এপর্যন্ত ২১০টি আইন লঙ্ঘনের ঘটনা পাওয়া বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাজ্যভিত্তিক স্থানীয়করণের আওতায় ইলেকট্রিক ও অটোমোবাইল খাতের পাশাপাশি স্বর্ণ ও অলংকার খাতকেও আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ, শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। রাজ্যের গর্ভনররা এ কর্মকাণ্ডে পৌরসভা ও গ্রামীণ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য ও বিনিয়াগ মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা ও পাসপোর্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করবে।

সমাজ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবা আল-খলিল বলেছেন, উত্তর সীমান্তের ১২ ব্যবসায় কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থানীয়করণ করা হবে।

গত ২৫ বছর ধরে অলংকার শিল্পে কাজ করা একজন প্রবাসী ওযাইর গাজালি মনে করেন, সত্যিকার অর্থেই স্থানীয়করণ নিশ্চিত করতে বৈধ অলংকার ব্যবসাগুলোর দিকে নজর দেওয়াও জরুরি।

সৌদি আরবের নয়া সংস্কার নীতির প্রকোপে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষে প্রায় ৬২ হাজারের মতো প্রবাসী শ্রমিক কমেছে দেশটিতে। জাতীয় রূপান্তরকরণ কার্যক্রম ২০২০ ও ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী সংস্কার নীতির আওতায় প্রবাসীদের পোষ্য ফি বাড়ানো, জাতীয়করণ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন খাতে প্রবাসী কর্মী নিয়োগে ফি বাড়ানো ইত্যাদি কারণে দেশটিতে প্রবাসীদের সংখ্যা কমেছে।

উল্লেখ্য দেশটির ৪৮টি বিভাগে প্রায় ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।