Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যেসব সিনেমায় নায়ককে ছাপিয়ে মুখ্য হয়ে উঠেছেন খলনায়করা

bollywood-cinemaসিনেমা মানেই নায়কের দাপট। পুরো গল্পে নায়ক তার বীরত্ব দেখিয়ে জয় করেন দর্শক মন। প্রতিটা কাজে বাঁধার সৃষ্টি করেন খলনায়ক। কিন্তু শেষটায় নায়কের জয় হয়। রুপালি পর্দায় বেশির ভাগ সময় এমন ঘটনা ঘটলেও কিছু সময় চিত্রনাট্য ও অভিনয় গুণে খলনায়ক হয়ে ওঠেন শ্রেষ্ঠ।

বলিউডেও এমন অনেক সিনেমা তৈরি হয়েছে যেগুলোতে নায়ককে ছাপিয়ে নিজেদের অভিনয়ের দক্ষতা আর সৃষ্টিশীলতায় এগিয়ে গিয়েছেন খলনায়করা। দর্শকের হৃদয়ে যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে আছে সেই চরিত্রগুলো। এমন কয়েকটি খল চরিত্র নিয়ে এই প্রতিবেদন।

chardike-ad

শোলে: রমেশ সিপ্পির শোলে সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে। সিনেমায় গব্বর সিং চরিত্রে অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন অভিনেতা আমজাদ খান। দুর্ধর্ষ খল চরিত্রে অভিনয় করে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা ক্যাটাগরিতে ফিল্মফেয়ার মনোনয়নও পেয়েছিলেন তিনি।

মিস্টার ইন্ডিয়া: ভারতের ইতিহাসে অন্যতম মেধাবী পরিচালক ধরা হয় শেখর কাপুরকে। ১৯৮৭ সালে তার পরিচালনায় মুক্তি পায় মিস্টার ইন্ডিয়া। এই সিনেমায় নায়ক অনিল কাপুরকে ছাপিয়ে সিনেমার প্রাণ হয়ে উঠেছিলেন খল চরিত্র তথা মোগ্যাম্বো চরিত্র রূপদানকারী অমরিশ পুরি। ভারতের সিনেমা জগতে স্মরণীয় হয়ে আছে এ চরিত্রটি।

ডর: ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ডর’। একটি সাইকোলজিক্যাল-থ্রিলারধর্মী সিনেমা এটি। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান এই সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করেন এবং নায়ক সানি দেওলকে ছাপিয়ে তিনিই হয়ে উঠেন সিনেমার মুখ্য চরিত্র। খল চরিত্রে শাহরুখ খান এতটাই সাবলীল অভিনয় করেন যে এই চরিত্র তাকে এনে দিয়েছিল ফিল্ম ফেয়ারের মতো সম্মানজনক পুরস্কার।

আজনবি: দুই যুগের বেশি সময় ধরে বলিউডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নির্মাতা জুটি আব্বাস-মাস্তান। খল চরিত্রই মুখ্য চরিত্র-এটিই তাদের সিনেমার অন্যতম বৈশিষ্ট। অভিনয়, সংলাপ কিংবা পর্দায় উপস্থিতি সবকিছু মিলিয়ে অক্ষয় এই সিনেমায় ছাপিয়ে গিয়েছিলেন নায়ক ববি দেওলকে।

ওমকারা: সন্দেহ, অবিশ্বাস মহত্ত্ব ও ষড়যন্ত্রের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমা ওমকারা। এতে খল চরিত্রে সাইফ আলী খান, অজয় দেবগন এতটাই পোক্ত অভিনয় করেছিলেন যে তাদের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়ার জোর দাবি উঠেছিল।

অগ্নিপথ: বলিউড সিনেমায় নায়ক এবং খল নায়ক দুই চরিত্রেই হাজির হন সঞ্জয় দত্ত। দুই চরিত্রেই দর্শকরা সমানভাবে নিয়েছেন এ অভিনেতাকে। তবে ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আগ্নিপথ সিনেমায় চোখের ভ্রূহীন টেকো মাথার সঞ্জয় দত্তের খল চরিত্রে অভিনয় তুলনাহীনই বলা চলে।

ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন মুম্বাই দোবারা: মিলন লুথারিয়া পরিচালিত ‘ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন মুম্বাই দোবারা’ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। সিনেমার খল নায়ক অক্ষয় কুমারের অভিনয়ের কাছে নায়ক ইমরান খান এতটাই ম্রিয়মান ছিলেন যে খোদ দর্শকই দ্বন্দ্বে পড়ে যান যে, কে নায়ক আর কে খলনায়ক।

গ্যাংস অব ওয়াসিপুর: বলিউডের গ্যাংস্টার ঘরানার সিনেমার মধ্যে প্রথম সারির গ্যাংস অব ওয়াসিপুর। অনুরাগ কাশ্যপের দুই পর্বের এই বিশাল সিনেমা শুধু নতুন ইতিহাস জন্ম দেয়নি, বলিউডকে উপহার দিয়েছে কিছু প্রতিভা। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী খল চরিত্রে অভিনয় করে জয় করেছিলেন লাখো সিনেমা প্রেমীর মন।

ধুম: ধুম সিরিজের সিনেমাগুলো নায়কদের জন্য যতটা আলোচিত তার চেয়ে ঢের আলোচিত খলনায়কদের জন্য। ধুম সিনেমায় জন আব্রাহাম, ধুম-টু তে হৃতিক রোশান কিংবা ধুম-থ্রির আমির খান প্রত্যকেই অভিনয়, সংলাপ কিংবা পর্দায় উপস্থিতি সবকিছুতেই ছিলেন এগিয়ে।

পদ্মাবত: সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত বহুল আলোচিত সিনেমা পদ্মাবত। গত ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে এটি। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় তিন চরিত্রের দুইটিতে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে শহিদ কাপুর, রণবীর সিং। কিন্তু আলাউদ্দিন খিলজি চরিত্রে রণবীরের অভিনয়ের কাছে অনেকটাই ফিকে রাওয়াল রতন সিংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করা শহিদ। সুরমা পরা হিংস্র চোখের চাহনি থেকে শুরু হয়ে পাশবিক শারীরিক ভাষায় অত্যাচারী সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজির ভূমিকায় রণবীর যথাযথ।

সূত্র- রাইজিংবিডি