Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক সংকটে বন্ধ হচ্ছে শত শত রেস্টুরেন্ট

malaysia-restaurentমালয়েশিয়ায় গত এক বছরে দুই হাজার চায়নিজ কফি শপ এবং ৪০০ ইন্ডিয়ান মুসলিম এবং কলাপাতা রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মালিকদের যৌথ একটি কমিটি।

দ্য মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর কফি শপ প্রপার্টিজ জেনারেল অ্যাসোসিয়েশন (এমএসসিপি), মালয়েশিয়ান ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট ওনারস অ্যাসোসিয়েশন (প্রিমাস), মালয়েশিয়ান ইন্ডিয়ান মুসলিম রেস্টুরেন্ট ওনারস অ্যাসোসিয়েশনও এক যৌথ বিবৃতিতে সরকারের কাছে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের জন্যে আবেদন করেছে।

chardike-ad

এমএসসিপি প্রেসিডেন্ট হো সু মং বলেন, গত এক বছরে সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত ২০ হাজার সদস্যের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। পরিস্থিতি এমন উদ্বেগজনক অবস্থায় চলে গেছে মূলত যখন চায়নিজ নতুনবর্ষের ছুটিতে কর্মীরা তাদের নিজ দেশে ফিরে গেছেন এবং ছুটি শেষে আর ফিরে আসেননি। এছাড়া কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া শর্তের কারণেও বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।

কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা না করলে চায়নিজ কফি শপ মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেও মনে করেন তিনি। কারণ, এই শ্রমিকরা তাদের ব্যবসার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

প্রিমাস এর মহাসচিব টি থানাবালান বলেন, যদি শ্রমিকের ঘাটতি পূরণ করা না যায়, তবে এই বছর অনেক কলাপাতা রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। বিদেশি শ্রমিকের অনুমতি লাভের বিষয়টি গত তিন বছর ধরে সমাধান হয়নি।

শ্রমিক ঘাটতি মেটানোর প্রক্রিয়াটি সরকার এতো কঠোর করে রেখেছে যে ছোট পুঁজির কারো পক্ষে সেটি বহন করা সম্ভব নয়। এতো কড়া পদ্ধতির মধ্য দিয়ে সরকারি বিভাগের সব চাহিদা পূরণ করে এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশি কর্মী নিয়োগ এখন অত্যন্ত কঠিন একটি প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, আমাদের রেস্টুরেন্টগুলোতে এখন পরিষ্কার করার লোক নেই। ফলে স্থানীয় কাউন্সিল এসে ময়লা থাকার অভিযোগে জরিমানা করে যাচ্ছে।

থানবালান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রেস্টুরেন্টগুলো মালয়েশিয়ানদের। এদের মধ্যে অনেকেই কয়েক যুগের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। আবার আমরা এমন জায়ান্ট কোম্পানিও না যে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে অন্য দেশে গিয়ে ব্যবসা করতে পারবো। এখানে মানবসম্পদ না পেলে আমাদের ব্যবসা বন্ধই করতে হবে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের বিষয়টি সুরাহার জন্যে আবেদন জানিয়েছি। কোনো সমাধান না পেলে স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধই করে দিতে হবে, যোগ করেন থানবালান।

সৌজন্যে- বাংলানিউজ২৪