Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা না কমলে গণপিটুনি থামবে না’

india-newsগণপিটুনি নিয়ে কথা বলতে যেন নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। বিজেপি সাংসদ অর্জুন রাম মেঘওয়াল, বিধায়ক রাজা সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উত্তরপ্রেদেশের বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং এবং রাজস্থান বিজেপির সভাপতি মদনলাল সাইনির পর এবার উত্তরপ্রদেশেরই বিজেপি সাংসদ হরি ওম পাণ্ডেও গণপিটুনি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। গেরুয়া শিবিরের এই সাংসদ বলেন, গণপিটুনি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা আগে জরুরি।

দু’দিন আগে উত্তরপ্রেশেরই বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং বলেছিলেন, হিন্দুত্ব বাঁচাতে অন্তত ৫টি করে সন্তান জন্ম দেওয়া উচিত হিন্দুদের। আর এদিকে, মুসলিমদের জন্য ঠিক উল্টো কথা বললেন আরেক বিজেপি নেতা। বিজেপি সাংসদ হরি ওম পাণ্ডের দাবি, ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির জন্য দায়ী ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনসংখ্যা। মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে বলেই অপরাধ, সন্ত্রাস, গণপিটুনির মতো ঘটনা বাড়ছে।

chardike-ad

স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাণ্ডে দাবি করেন, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যা এত বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূল কারণ মুসলিমরাই। মুসলিমরা জন্মনিয়ন্ত্রণ বা কোনও পরিকল্পনায় বিশ্বাসী নয়। বরং জনসংখ্যা বাড়ানোর তত্ত্বে বিস্বাসী। এর ফলে পুরো দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশের আম্বেদনগরের সাংসদ বলেন, যেভাবে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আরও একটি পাকিস্তান জন্ম নেবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করলে এদেশের পরিস্থিতিও পাকিস্তানের মতোই হবে। পাণ্ডের দাবি, দ্রুত সংসদে বিল এনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে বয়ান দিতে গিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতারা। খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কার্যত গরু আর মানুষকে এক আসনে বসিয়েছিলেন। বিজেপির আরেক শীর্ষ নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, মোদির জনপ্রিয়তা কমাতে বিরোধীরা চক্রান্ত করে গণপিটুনির ঘটনা ঘটাচ্ছে।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ