Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পিতার পথেই হাঁটছেন পার্ক গুন হে

অনলাইন প্রতিবেদক, সিউল, ১১ জানুয়ারী ২০১৪:

দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট পার্ক গুন হে রাষ্ট্র পরিচালনায় তাঁর পিতা ও দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি পার্ক জং হি’র পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন বলে মত দিয়েছেন সে দেশের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন সোমবার নতুন বছরের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মিসেস পার্ক পরিমাণগত লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার যে তিন বছর মেয়াদী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন তা ’৬০ ও ’৭০ দশকের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাগুলোর সাথে অনেকটাই মিলে যায়। হানসং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিম সাং জো বলেন, “যারা প্রেসিডেন্টের ঘোষণাটি শুনেছেন সম্ভবত তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই সেই পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে এর মিল খুঁজে পেয়েছেন।”

chardike-ad

121218081415-park-geun-hye-with-father-story-bodyআধুনিক প্রযুক্তির উৎকর্ষ ও ভোগ্যপণ্য উৎপাদন শিল্পে অধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রণীত তিন বছর মেয়াদী পরিকল্পনায় পার্ক ৩০ হাজার ইউএস ডলার মাথাপিছু আয় ও ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ৭০ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি পার্ক জং হে’র সমর্থকরা দাবী করেন যে এ ধরণের পরিকল্পনার মাধ্যমে তিনি অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন যা তাঁর শাসনামলে (১৯৬১-১৯৭৯) কোরিয়াকে খুব দ্রুত উন্নতি করতে সাহায্য করেছিল। ১৯৬১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা এই সাবেক সেনাপ্রধান ১৮ বছরের শাসনকালে চার দফায় তাঁর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কার্যকর করেছিলেন এবং এ সময়ে কোরিয়ার মাথাপিছু আয় অনূর্ধ্ব ১০০ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।

অধ্যাপক কিম বলছিলেন পিতার নীতির উপর পার্কের নির্ভরশীলতার উদাহরণ এটাই প্রথম নয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত এক বছরে তাঁর গৃহীত অনেক পদক্ষেপই ছিল কার্যত সাবেক প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপসমূহের প্রতিফলন। গেলো বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী দায়িত্ব গ্রহণকালে দেয়া বক্তব্যে পার্ক দ্বিতীয় ‘মিরাকল অন দ্য হান রিভার’ (যুদ্ধোত্তর কোরিয়ার রপ্তানি নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বোঝাতে ব্যবহৃত) অর্জনের প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া গ্রামাঞ্চলের আধুনিকায়নে পিতার গৃহীত কর্মসূচী ‘দ্য নিউ ভিলেজ মুভমেন্ট’ও নতুন করে সক্রিয় করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনেক পর্যবেক্ষক অবশ্য মনে করেন দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই পার্ক জং হের কন্যা হওয়ার সুবিধাটুকু কাজে লাগাচ্ছেন যিনি কিনা দেশটির বয়স্ক নাগরিক ও রক্ষণশীলদের মাঝে এখনও যথেষ্ট জনপ্রিয়। মিয়ংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিন ইয়ুল যেমনটা বলছিলেন, “পার্ক জং হি’র ব্যাপারে কোরিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে তিনি এখনও অনেক মানুষের ভালোবাসার পাত্র যা বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রতি তাদের সমর্থন যোগাচ্ছে। আমি মনে করি পিতার পথে হেঁটে পার্ক কার্যত সেই রাজনৈতিক ফায়দাটুকুই নিতে চাইছেন।”