দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দেশটিতে প্রতি মাসের শেষ বুধবার সংস্কৃতি দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করেছে। এই দিনে জাতীয় নাট্যমঞ্চ, যাদুঘর ও গ্যালারিসহ সরকারি-বেসরকারি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসমূহে কনসার্ট ও অন্যান্য অনুষ্ঠান বিনামূল্যে কিংবা বিশেষ ছাড়ে উপভোগ করা যাবে। জানুয়ারীর মাসের শেষ বুধবার প্রথম সংস্কৃতি দিবসে প্রায় ৮শ প্রতিষ্ঠান দর্শনার্থীদেরকে হ্রাসকৃত কিংবা বিনামূল্যে তাদের অনুষ্ঠান উপভোগ করার সুযোগ দিয়েছে।
সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটি গেলো বছরের অক্টোবর মাসে সংস্কৃতি দিবস পালনের প্রস্তাবটি প্রথম উত্থাপন করে। কমিটির প্রস্তাবনায় বলা হয়, “জীবন কঠিন হতে পারে। কিন্তু আমরা চাই অন্তত মাসে একটি দিন মানুষ তাঁদের প্রাত্যহিক রুটিন থেকে বেরিয়ে আসুক; সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপভোগের মাধ্যমে তাঁদের ভিতরের সত্তাটিকে জাগিয়ে তুলুক, জীবনের মানটাকে আরেকটু উন্নত করুক।”
প্রথম সংস্কৃতি দিবসে প্রেসিডেন্ট পার্ক গুন হে একটি সিনেমা হল প্রদর্শনকালে সাংবাদিকদের দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি আশা করি এই উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আরও বেশী করে উপভোগ করতে পারবে।” উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট পার্ক সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিকে তাঁর সরকারের প্রধান চারটি লক্ষ্যের একটি হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রী ইয়ো জিন রোং মনে করেন এর মাধ্যমে সংস্কৃতিকে আরও বেশী মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। “কোরিয়ানদের জীবন এখন কর্মমুখী জীবন। সংস্কৃতি দিবস পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশবাসীর কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেয়া যে এখন সময় হয়েছে আমাদের জীবনদর্শনে পরিবর্তন আনার। সময় হয়েছে পরিবারকে সময় দেয়ার, অবসরকে উপভোগ করার; এসব কাজও কোন অংশে কম কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।”