Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইতালিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ফরাজীর সাফল্য

italy-forajiইতালিতে সফল ব্যবসায়ী ইকরাম ফরাজী। দেশ ও মানব সেবার চেষ্টায় ব্যবসা শুরু করেন তিনি। শুন্য থেকে শুরু করে হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে তার প্রতিষ্ঠানে। প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশকে লালন করেন মনে প্রাণে। মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায় সফলতা অর্জন করায় ইতালি প্রবাসী ইকরাম ফরাজীকে সুনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি তিনি মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায় সফল হন। ফরাজী ব্যবসার সফলতা নিয়েই বসে থাকেননি। নেক মানি ট্রান্সফারের চেয়ারম্যান এবং সিইও সিআইপি ইকরাম এবার বিশ্বের স্বনামধন্য ‘অ্যাংগিলা রাসকিন ইউনিভার্সিটি’ (ইউ) কে থেকে আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফারের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেছেন।

chardike-ad

২৫ শে মার্চ অ্যাংগিলা রাসকিন ইউনিভার্সিটি আয়োজিত কনভোকেশন প্রোগ্রামে ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলরের হাত থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক মানি ট্যান্সফারের বিষয়ে তার এই অর্জিত জ্ঞান যেন তিনি প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সেবায় কাজে লাগাতে পারেন সেজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এ ছাড়া বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রবাসীরা যেন বৈধপথে সহজে, দ্রুততম সময়ে, নিরাপদে ও কম কমিশনে দেশে পরিবার-পরিজনের কাছে অর্থ পাঠাতে পারেন, সে ব্যাপারে তিনি কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ইতালির রোমে ব্রিটিশ কারিকুলামে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ‘মাদানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। ১২০ জনের মতো শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছাড়াও শ্রীলংকান, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা পড়ছে।

এই সফল ব্যবসায়ীর জন্ম শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার সেনেরচর গ্রামে। দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক ইকরাম ফরাজী। তিনি ৬ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ৫ম। বাবা আবুল হাসেম ফরাজী ছিলেন একজন কৃষক।

ইকরাম ফরাজীর শিক্ষা জীবন শুরু হয় তার নিজ গ্রামেই। জাজিরার বি,কে নগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাস করার পর নারায়নগঞ্জের তোলারাম কলেজ থেকে এইস.এস.সি ও ডিগ্রি পাস করেন।

একজন সফল ব্যবসায়ী ইকরাম ফরাজী ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্রমেই সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। ট্রাভেল অ্যান্ড কারগো, ফরাজী হাউজিং, ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, খাবারসহ নানাবিধ ব্যবসায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। ফরাজী পরিবারের সবাই যৌথভাবে এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রত্যেকটি ব্যবসায় বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

লেখক- জমির হোসেন, সৌজন্যে- জাগো নিউজ